দাঁতের সমস্যা হওয়ার আগেই যা যা করতে হবে

অনলাইন হেলথ ডেস্ক

প্রতি ছয় মাসে অন্তত একবার ডেন্টিস্টের (দাঁতের ডাক্তার) কাছে গিয়ে মুখ ও দাঁতের পরীক্ষা করাবেন। আরও যা যা করবেন-

  • সুস্থ দাঁতের জন্য নিয়মিত সকালে নাস্তার পরে ও রাতে খাওয়ার পর দু’বার সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। ব্রাশটি ভালো মানের ও নরম হতে হবে। প্রতি ৩ মাস পরপর ব্রাশ পরিবর্তন করতে হবে। কয়লা, ছাই, মাটি ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না।
  • মুখে খাদ্যকণা জমে যাতে দুর্গন্ধ না হয়, সেজন্য নিয়মিত ব্রাশ করার পাশাপাশি ফ্লস বা সুতা দিয়ে প্রতিটি দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণা বের করে ফেলতে হবে।
  • নিয়মিত এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে মুখ কুলিকুচি করতে হবে। এটা দাঁতের ক্ষয় রোগ ও মাড়ির রোগ প্রতিরোধ করবে।
  • খাবারের পর অবশ্যই কুলি করতে হবে। কারণ দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণা দাঁতকে দ্রুত ক্ষয় করে ও দাঁতের মসৃণতা নষ্ট করে।
  • দাঁত ব্রাশ করার সময় জিহ্বা ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। টাং স্ক্রেপার অথবা ব্রাশ দিয়েই আস্তে আস্তে জিহ্বা পরিষ্কার করতে হবে।
  • মুখের মধ্যে পাঁচশ’রও বেশি ধরনের ব্যকটেরিয়া থাকে এবং এদের মধ্যে কয়েকটি নির্দিষ্ট কিছু অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্টের প্রতি সংবেদনশীল। সেটিলপিরিডিনিয়াম ক্লোরাইড বা সিপিসি আছে এমন মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। সবসময় অ্যালকোহল মুক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। কারণ অ্যালকোহল কোনো উপকার করে না, বরং এ থেকে মুখে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
  • পান, তামাক, জর্দা খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। অনেক সময় এসব মুখে ঘা, ক্ষত বা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। ধূমপান করা থেকে বিরত থাকবেন। এতে দাঁতে কালো দাগ তৈরি হয়।
  • দাঁতে বা মুখের ভেতর কোনো পরিবর্তন দেখা দিলে (যেমন- ঘা, লাম্প ইত্যাদি) অতি দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
  • সেটিলপিরিডিনিয়াম ক্লোরাইড বা সিপিসি আছে এমন মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। এই উপাদান মুখের প্রোটিনের সঙ্গে মিলে একটি সুরক্ষা কবচ তৈরি করে যা ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত কার্যকর থাকে।

নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটির দন্ত চিকিৎসা বিজ্ঞানের অধ্যাপক রবিন সিমোর বলেন, “আমি সবসময় অ্যালকোহল মুক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহারের পরামর্শ দেবো। কারণ অ্যালকোহল কোনো উপকার করে না, বরং এ থেকে মুখে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।”

সেটিলপিরিডিনিয়াম ক্লোরাইড বা সিপিসি আছে এমন মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। এই উপাদান মুখের প্রোটিনের সঙ্গে মিলে একটি সুরক্ষা কবচ তৈরি করে, যা ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত কার্যকর থাকে।

মুখের মধ্যে পাঁচশরও বেশি ধরনের ব্যকটেরিয়া থাকে এবং এদের মধ্যে কয়েকটি নির্দিষ্ট কিছু অ্যান্টিব্যকটেরিয়াল এজেন্টের প্রতি সংবেদনশীল। সিপিসি এবং এসেনসিয়াল ওয়েলযুক্ত মাউথওয়াশ এক্ষেত্রে আদর্শ।

(সংগৃহীত)