দেশবাসীর সচেতনতায় এখনো ভালো অবস্থায় বাংলাদেশ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সাইকোহেল্থ নিউজ নিউজ

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা মোকাবেলায় সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের কারণেই পৃথিবীর অন্যদেশের তুলনায় বাংলাদেশ এখনও ভালো অবস্থানে রয়েছেন। তিনি বলেন, চিকিৎসক, নার্সদের জীবন বাজি রেখে লড়াই করা, স্বাস্থ্যখাতের যথাসময়ে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী উদ্যোগ গ্রহন আর একই সাথে দেশের মানুষের সরকারি নির্দেশনাসমূহ মেনে আত্ম-সচেতনতা বৃদ্ধির ফলেই দেশে করোনা এখনো মহা বিপর্যয়ে পৌছেনি।

বুধবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সাথে ‘জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ- ২০২০’ উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নব নিযুক্ত মহাপরিচালক সাহান আরা বানু প্রমুখ। এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০২০ এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। প্রতি বছরের ন্যায় আগামী ২৩ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত দেশব্যাপী জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালন করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আক্রান্তের ৪৪ দিন পার হলেও দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা ইতালি, ফ্রান্স,আমেরিকার থেকে বহুগুন কম রয়েছে। কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য দেশে ৪৪ দিন পর যখন লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে সেখানে আমাদের দেশে মোট আক্রান্ত এখন ৩৭৭২ জন। তিনি বলেন, দেশে দৈনিক আক্রান্ত সর্বোচ্চ ৩’শ থেকে ৪’শ এর ঘরেই আছে। এটি এমনি এমনি সম্ভব হয়নি। বর্তমান সময়ে কোন সমালোচনায় হতাশ হয়ে না পড়ে করোনার এই দুর্যোগের সময় স্বাস্থ্যখাতের সকলকে জনগণের পাশে থেকে নিরলস কাজ করে যেতে হবে জানিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত জেলার সিভিল সার্জন সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ করে যাবার আহবান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

পুষ্টি দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে, মানব দেহে পুষ্টির গুণাগুণ বর্ননা করেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী কথা বলেন ও দিক নির্দেশনা দেন। সভায় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে দেশব্যাপী এতিমখানা/লিল্লাহ বোর্ডিং এ পুষ্টিকর খাবার বিতরণ, মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ জনগনের মাঝে পুষ্টি বার্তা সম্বলিত ছাতা, টি শার্ট, শাড়ি, হাত ধোঁয়ার উপকরণ স্বারক উপহার হিসেবে দেবার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।