সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা সবসময়ই চ্যালেঞ্জের ছিল। ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, এ দেশে প্রায়ই খাদ্যাভাব দেখা দিতো, দুর্ভিক্ষ হতো। খাদ্য নিরাপত্তাকে সব সময়ই মনে করা হতো অধরা হরিণের মতো। কিন্তু বিগত ১০ বছরে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
মন্ত্রী জানান, করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাঝেও চলতি অর্থবছরে খাদ্যশস্যের (চাল, গম ও ভুট্টা) উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৪ কোটি ৫৩ লক্ষ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। এই দুর্যোগেও বিশ্বে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) আয়োজিত ‘কোভিড পরবর্তী বাংলাদেশে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা: চ্যালেঞ্জ ও সমাধান’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সবার জন্য পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকল্পে বিশেষভাবে সচেষ্ট আছে। পুষ্টির উৎস শাকসবজি ও ফলমূলের উৎপাদন বাড়াতে সরকার কৃষিখাতে বায়োটেকনোলজি, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, প্রতি ইউনিয়নে কালিকাপুর মডেল অনুসরণ করে সবজি পুষ্টি বাগান ইত্যাদি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
পাশাপাশি, দেশিয় ও আধুনিক জীবপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের মতো প্রাণিজ আমিষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ চলমান আছে। পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সকলের সচেতনতা এবং মানুষের আয় বা কর্মসংস্থানও বৃদ্ধিও জরুরি বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সাইদুল আরেফিন। বারটানের নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর রহমান খানের সভাপতিত্বে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান, আইসিডিডিআরবির সিনিয়র পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ, ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আরিফ হোসেন, বারটানের পরিচালক কাজী আবুল কালাম বক্তব্য রাখেন।