বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের প্রেরণার উৎস- কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড আব্দুর রাজ্জাক

সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এ কথা বলেন।

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় হোসেন্দী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫ বছর পূর্তি উৎসব ও পুনমির্লনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ৩ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর ৭ মার্চের ভাষণের শেষে তিনি বলেছিলেন, “এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।” স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মাজহারুল হক তপন। এসময় স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা স্মৃতিচারণ করেন।

অন্যান্যের মাঝে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এবং মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, সাবেক আইজিপি (প্রিজন) ও পিএসসির সাবেক সদস্য মো. লিয়াকত আলী খান, হামদার্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষির উন্নতি হলেই গ্রামের মানুষের জীবনমান উন্নত হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। গ্রামের অর্থনীতি এখনও কৃষিভিত্তিক। কৃষিকে কেন্দ্র করেই বেশিরভাগ মানুষের জীবনজীবিকা আবর্তিত হয়।

গ্রামের মানুষের জীবনকে উন্নত করতে তাই কৃষিকে উন্নত করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ হলো গ্রামীণ বাংলাদেশ। নিজেদের শিকড়, নিজের গ্রামকে ভুলে গেলে চলবে না। নিজেদের গ্রামকে আলোকিত করতে হবে, গ্রামের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, অর্থবিত্তই সব নয়। জীবনে এর প্রয়োজন আছে, কিন্তু লোভ ও প্রয়োজনের মধ্যে সীমারেখা থাকা দরকার। মনে রাখতে হবে মানুষের কল্যাণে যতটুকু কাজ, তার উপরই জীবনের সার্থকতা নির্ভর করে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ আফজাল, গজারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু প্রমুখ। মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি মো. শাহজাহান খান, জেলা পরিষদের সদস্য মো. সাইদুর রহমান খান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকীসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রাক্তণ ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এর আগে সকালে ঢাকা থেকে গজারিয়া যাওয়ার পথে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর, দড়িকান্দি এবং মেঘনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কৃষিমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।