সম্পাদকীয়
এই নতুন বছরে নিজেকে নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী হতে পারে?
১. নিজের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা। নিজের সামর্থ্য আর ইতিবাচক ভাবনার প্রসার ঘটানো। একপেশে চিন্তা-ভাবনা থেকে নিজেকে মুক্তি দেওয়া। নিজের অসংলগ্ন বিষয়গুলোর সমাধান বের করা। এ ব্যাপারে অন্যের ঘাড়ে দোষ না চাপিয়ে বাস্তব পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সমাধান করা।
২. সামাজিক সম্পর্কের পরিসর বা ভলিউম বাড়ানো। তবে এ ব্যাপারে নিজের পারিবারিক ও সামাজিক সীমানা এবং দায়বদ্ধতা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা।
৩. নিজের ও নিজের পারদর্শিতা সম্পর্কে জেনে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা। সেই সাথে নিজের সীমাবদ্ধতাগুলোও জানা।
৪. নিজের উন্নয়নে অবিরাম কাজ করা। ব্যক্তিগত মূল্যবোধ বিশ্লেষণ করে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপের বাস্তবায়ন করা। যেমন- আপনার ধর্মীয় ইতিবাচক অনুশীলন বাড়াতে চাইলে এ সম্পর্কিত আবশ্যিক করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় জেনে চর্চা করলেই আপনি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন।
৫. আবেগের বহিঃপ্রকাশ নিবেদন-আবেদনের ব্যবস্থাপনার ইতিবাচক চর্চা করা। আপনার সফলতার অন্যতম উপাদান এটি। একপেশে চিন্তা-ভাবনার বহিঃপ্রকাশ আপনাকে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির মাঝে ফেলবে।
৬. আপনার সিলেক্টেড পজিটিভ কন্ট্রিবিউশন আছে। সেগুলো আরো বাড়ান। লিস্টটা ধীরে ধীরে বড় করুন। আপনাকে হয়ত অনেকেই সিলেক্টেড মানবতাবাদী বলবে। এসব নেতিবাচক ব্যাপারকে পাত্তা না দিয়ে নিজের ইতিবাচক লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের দিকে এগিয়ে যান। খেয়াল রাখবেন, আপনার ইতিবাচক কাজ যেন কারও কষ্টের কারণ না হয়।
৭. কৃতজ্ঞতার চর্চা করুন। আপনার পজিটিভ মাইন্ড-সেট আছে। সেই সাথে পজিটিভ অ্যাকশন করুন। আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
৮. প্রিয়জনকে ইতিবাচক ভাবনার ভাগিদার করুন। ইতিবাচক আচরণের অংশীদার করুন। তাকে উপহার দিন। ভালো আচরণও হতে পারে এক ধরনের উপহার।
৯. যার বা যাদের উপস্থিতি বেশিরভাগ সময় আপনাকে বিব্রত করে, তাদের সাথে সীমারেখা তৈরি করে নিন। কারণ আমি নিজে ভালো থাকলেই কেবল আমার পরিবার-পরিজনকে ভালো রাখতে পারব।
১০. সহমর্মিতা অনুশীলন করুন। প্রয়োজনে মাঝে মাঝে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করুন। জীবনযাপনের ইতিবাচক পরিবর্তনের কারণে আপনার একঘেঁয়েমি দূর হবে আর প্রজ্ঞার বিকাশ হবে।