যশোর ও নওয়াপাড়ার পুরো পৌর এলাকায় এবার লকডাউন

যশোর ও নওয়াপাড়ায় লকডাউন

তামান্না খান, ডিভিশনাল করেসপনডেন্ট

করোনা সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতে এবার যশোর ও নওয়াপাড়ার পুরো পৌরসভায় মধ্যরাত থেকে কার্যকর হচ্ছে এক সপ্তাহের ‘লকডাউন’। এরই মধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জেলা প্রশাসন। এর আগে, মঙ্গলবার বিকেলে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় দুই পৌরসভায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত হয়।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান জানিয়েছেন, দুই পৌর এলাকায় সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যশোর ও নওয়াপাড়া পৌরসভায় এর আগে দু’টি করে ওয়ার্ডে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর ছিল।

করোনা সংক্রমণের হার ও সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে জেলা শহরের কালেক্টরেট সভাকক্ষে করোনা প্রতিরোধ কমিটির এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বলা হয়, প্রতিদিন সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় দু’টি ওয়ার্ডের চলমান বিধি-নিষেধ পুরো পৌর এলাকায় সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নতুন বিধি-নিষেধের আওতায় যানবাহন, দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ থাকবে। তবে মোটরসাইকেলে একজন, রিকশায় একজন এবং অটোরিকশায় দু’জনের বেশি চলাচল করা যাবে না বলেও উল্লেখ রয়েছে গণবিজ্ঞপ্তিতে। খোলা থাকবে ওষুধের দোকান।

যশোরে মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে করোনা শনাক্তের হার বাড়তে শুরু করে। জুন মাসের শুরুতেও ঊর্ধ্বমুখি ভাব দেখা যায়। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে ২৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১২২ জনের। শনাক্তের হার ৪২ শতাংশ।

গত ৩ জুন শনাক্তের হার ছিলো ২৫ শতাংশ। ৪ জুন কমে দাঁড়ায় ২৩ শতাংশ। ৫ জুন ছিলো ২০ শতাংশ। ৬ জুন সেটা আবার ২৩ শতাংশে দাঁড়ায়। ৭ জুন তা ২৯ শতাংশে যায়। মঙ্গলবার সেটা বেড়ে ৪২ শতাংশ হয়।

জেলায় এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৫৬২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৮৩ জন। বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫৭ জন করোনা রোগী।হোম আইসোলেশনে আছেন ৭৮৪ জন।