প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে যে কারণে হাসপাতালে নেয়া হলো

সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নেয়া হয়েছে হাসপাতালে। ভর্তি হয়েছেন হোয়াইট হাউজ থেকে মাত্র ১৫ মাইল দূরে মেরিল্যান্ডের ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিকেল সেন্টারে। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দেয়া হয়েছে পরীক্ষামূলক প্রতিষেধক। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাতে বেশ ভালই মনে হচ্ছে তাঁকে। তবে হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্টের চিকিৎসায় যাবতীয় ব্যবস্থা থাকার পরও কেন তাঁতে হাসপাতালে নেয়ার প্রয়োজন হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।

হাসপাতালে নেয়ার সময় হোয়াইট হাউজের সাউথ লন থেকে মাস্ক পরে পায়ে হেঁটে হেলিকপ্টারে চড়ে বসতে দেখা যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। বলা হচ্ছে, সামান্য জ্বর ও অবসাদসহ মৃদু লক্ষণ দেখা গেছে তাঁর মধ্যে। রওনা হওয়ার আগে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভিডিও বার্তা দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যাতে তিনি নিজের ও ফাস্টলেডি ভাল থাকার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন সবাইকে।

সামরিক হাসপাতালে পৌঁছেই টুইট করেন ট্রাম্প। জানান, ঠিকঠাক মতোই আছে সবকিছু। যদিও হোয়াইট হাউজেই চিকিৎসা নিচ্ছেন ফার্স্টলেডি মেলানিয়া। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তাই প্রশ্ন, চিকিৎসায় সব ধরনের ব্যবস্থা থাকা সত্বেও কেন কেবল প্রেসিডেন্টকেই নেয়া হলো হাসপাতালে।

হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। কারণ তাঁর বয়স এখন ৭৪ আর সে তুলনায় ওজনও অনেক বেশি ১১১ কেজি। করোনায় আক্রান্ত এ ধরনের রোগীদের ঝুঁকি অনেক বেশি। অনেক ক্ষেত্রে তাদের মৃত্যুও হয়ে থাকে।

ট্রাম্প ছাড়াও এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন তার প্রশাসনের অনেকে। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক উপদেষ্টা কেলিয়ানি কনওয়ে, ক্যাম্পেইন ম্যানেজার বিল স্টিপিয়েন এবং দুই রিপাবলিকান সিনেটর মাইক লি ও থম টিলিস।

এদিকে, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুস্থতা কামনা করেছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। সাংবাদিকদের তিনি জানান, এখন সময় এসেছে মহামারী নিয়ে গুরুত্ব সহকারে ভাবার আর মাস্ক পরা নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য না করার।