সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
হাতের লেখার মাধ্যমে একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অনেকাংশে ধারণা করা যায়। হাতের লেখা নিয়ে গবেষণার এই ক্ষেত্রটি গ্রাফোলজি/ গ্রাফোঅ্যানালাইসিস নামে পরিচিত। এরসাধ্যমে একজন মানুষের হাতের লেখা দিয়ে লেখকের ব্যক্তিত্ব এবং লেখার সময়ে ঐ লেখকের মানসিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা করা সম্ভব।
গ্রাফোলজি হলো বিশ্লেষণমূলক একটা বিষয় সেখানে দেখা হয় লেখার মূহুর্ত পর্যন্ত ব্যক্তির অবস্থাঃ কিভাবে চিন্তাকরে, অনুভব করে এবং আচরণ করে নিজ ও অন্যের সাথে।হাতের লেখা লেখকের সত্যিকারের পরিচয় বা ব্যাক্তিত্ব ফুটে তুলে। আমরা যা লিখি তা আমাদের সচেতন মন থেকে হয় কিন্তু যেই পদ্ধতিতে বা যেভাবে লিখি সেটা আমাদের অচেতন মন এরবিষয় ফুটিয়ে তুলে।
গ্রাফোলজির ব্যবহারঃ নিজেকে বোঝা,একটি জীবন সঙ্গী নির্বাচন ,শিশুর উন্নয়ন/ বিকাশ,ব্যবসায়িক অংশীদার নির্বাচন করা,কর্মচারী নিয়োগ,ম্যানেজমেন্ট নির্বাচন,কর্পোরেট প্রশিক্ষণ,নথি পরীক্ষা এবং ফরেনসিক বিশ্লেষণ সুরক্ষা যাচাই করা এবং সততা ও নিষ্ঠার মূল্যায়ন।ক্যারিয়ার গাইডেন্স,কিছু কিছু শারিরিক রোগ সম্পর্কেও বলা যায় সারাবিশ্বে এই গ্রাফোলজির চর্চা অনেক বেশী হলে ও বাংলাদেশে তেমন পরিচিতি এবং চর্চা নেই এই গ্রাফোলজির । নেই কোন গ্রাফোলজিস্ট এবং গ্রাফোলজি প্রতিষ্ঠান।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী বাংলাদেশর প্রথম গ্রাফোলজিস্ট মো:মিরাজ হোসেনের হাত ধরেই চালু হলো গ্রাফোলজি প্রতিষ্ঠান “বাংলাদেশ ইনিষ্টিটিউট অব গ্রাফোলজি“।
মো:মিরাজ বলেন, “আধুনিক বিশ্বে হাতে লেখার পরিমাণ কমে যাচ্ছে কিন্তু হাতেরলেখা আমাদের চাপ কমায় এবং শরীরের বিভিন্ন কেমিক্যাল এর পরিমাণ বাড়ায়। একজন মানুষ কিভাবে একটা সিগনেচার দিবে সেটি কেউ শিখিয়ে দেয় না কিন্তু এই সিগনেচার হলো ব্যক্তির বাহ্যিক পরিচয়”।
এ বিষয়ে মো:মিরাজ আরও বলেন, আমাদের হাতের লেখার সাথে আমার শারিরীক ও মানসিকস্বাস্থ্য এর অনেক গভীর সম্পর্ক আছে। আমি যখন ভারতে গ্রাফোলজি শিখি এবং সেখানে প্রশিক্ষক হিসেবে জয়েন্ট করি দেখতে পায় অনেক বাবা মা তাদের সন্তানদের হেলথি রাইটিং এর প্রতি অনেক মনোযোগী কারণ এটার সাথে ব্যাক্তির ব্যক্তিত্বের সম্পর্কিত, যা মানুষকে সফলতার দিকে নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, গ্রাফোলজি হাতের লেখা সুন্দর করার সাথে সম্পর্কিত নয়, এটি আমাদের মন ও আচরণ নিয়ে কাজ করে। আমাদের দেশের মানুষকে শারিরীক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখার জন্য আমার এই প্রতিষ্ঠান শুরু করা এবং দেশের জন্য গ্রাফোলজিস্ট তৈরি করাই মূল উদ্দেশ্য।
সূত্র: নাগরিক ভাবনা