ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের আধিপত্য মোকাবেলায় নতুন নিরাপত্তা চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া। যাকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যা দিচ্ছে পশ্চিমা গণমাধ্যম। চুক্তির আওতায় প্রশান্ত মহাসাগরে
পারমাণবিক সাবমেরিন নামাবে অস্ট্রেলিয়া। সংক্ষেপে এই চুক্তিকে বলা হচ্ছে ‘অকুস’। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যৌথ ব্রিফিংয়ে চুক্তি সইয়ের ঘোষণা দেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনস এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই অঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ফুটে ওঠে তিনজনের কণ্ঠেই।
ব্রিফিংয়ে চীনের ব্যাপারে একটি শব্দ উচ্চারণ না করলেও পশ্চিমা গণমাধ্যমই একে দেখছে, বেইজিংয়ের আধিপত্য মোকাবেলার ঐতিহাসিক চুক্তি হিসেবে। অকুস চুক্তির আওতায় অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিন বানানোর রসদ যোগাবে যুক্তরাষ্ট্র। যাতে যুক্ত থাকবে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, অস্ট্রেলিয়ার ওই সাবমেরিন কোন পরমাণু অস্ত্র বহন করবে না। বরং এর চালনায় ব্যবহৃত হবে পারমানবিক শক্তি। এ কারণেই একে বলা হচ্ছে পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন।
এদিকে, তিন দেশের নিরাপত্তা চুক্তি সইয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। বেইজিংয়ে পররাষ্ট্র মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান জানান, এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে চরমভাবে হেয় করেছে এই ত্রিদেশীয় চুক্তি। যা অস্ত্র প্রতিযোগিতাকে জোরালো করবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশান্ত মহাসাগরকে ঘিরে তরান্বিত হতে যাচ্ছে নতুন স্বায়ু যুদ্ধ। এই অঞ্চলে অবকাঠামো খাতে বেইজিংয়ের বিশাল বিনিয়োগকে বেশ আগে থেকেই হুমকি হিসেবে দেখে আসছে পশ্চিমা বিশ্ব। এর মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয় চীন। এতে দু’দেশের মধ্যে তৈরি হয় রাজনৈতিক উত্তেজনা।
হাজার মাইল দূর থেকে সেই উত্তেজনাকে যেন আরও উষ্কে দিল ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র।