সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধ সম্ভব ছিল এবং তা করতে সরকারগুলো চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে বলে প্রতিবেদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গঠিত একটি স্বাধীন প্যানেল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ব্যর্থতার কথাও উঠে এসেছে ওই প্রতিবেদনে।
এতে বলা হয়েছে, করোনা মোকাবেলায় ডব্লিউএইচও এবং সরকারগুলোর সমন্বিত পদক্ষেপ ছিল ভয়ানক ভুলে ভরা ‘বিষাক্ত মিশ্রণ’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরো এক সপ্তাহ আগে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা জারি করতে পারতো বলেও মনে করে ওই প্যানেল।
বলা হচ্ছে, গত বছর ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা না করে ২২ তারিখের প্রথম বৈঠকেই জরুরি অবস্থার ঘোষণা দিতে পারতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইমারজেন্সি কমিটি। ওই ভাইরাসটি তখনও চীনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
মহামারির প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনা করতে স্বাধীন ওই প্যানেল গঠন করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও নিজেই। যার উদ্দেশ্য ছিল ভাইরাসটি কীভাবে সারাবিশ্বের ৩৩ লাখেরও বেশি প্রাণ ঝরে গেলো এবং প্রায় ১৬ কোটি মানুষ আক্রান্ত হলো, তা খতিয়ে দেখা।
বর্তমানে আমেরিকা ও ইউরোপে যেখানে স্বাস্থ্যবিধি শিথিল করতে যাচ্ছে, সেখানে এশিয়া, বিশেষ করে ভারত ও নেপালে ভয়ানক আকার নিচ্ছে এই সংক্রমণ।
স্বাধীন কমিটির সুপারিশ
আরেকটি বিপর্যয়কারী মহামারি প্রতিরোধে বেশ কিছু প্রস্তাবনা বা সুপারিশ রেখেছে স্বাধীন ওই কমিটি। এগুলো হলো-
– একটি নতুন গ্লোবাল থ্রেটস কাউন্সিল গঠন করতে হবে। বিভিন্ন দেশের সরকারগুলোকে দায়বদ্ধতার মধ্যে আনার ক্ষমতা থাকবে এই কাউন্সিলের।
– একটি রোগ নজরদারি প্রক্রিয়া থাকতে হবে, যেখানে তথ্য প্রকাশ করতে সরকারের আগাম অনুমোদন লাগবে না।
– ভ্যাকসিন বা টিকাকে অবশ্যই গণপণ্য (পাবলিক গুডস) করতে হবে এবং মহামারি তহবিল সুবিধা থাকতে হবে।
– সম্মৃদ্ধ দেশগুলোর সংগঠন জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোকে ১ হাজার ৯শ’ কোটি ডলার বরাদ্দ দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। স্বল্প আয়ের দেশগুলোকে কোভ্যাক্স কর্মসূচির অধীনে টিকা দিতে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।