ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে ১৩ জন মার্কিন সেনাসহ কমপক্ষে ১১০ জন নিহত হয়েছে। গত ২০ বছরের আফগান যুদ্ধে এটা অন্যতম সর্বোচ্চ প্রাণঘাতীর ঘটনা। এতে তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করা হয় বিমান ওঠানামা।
বিস্ফোরণের পর মুহূর্তে যা ঘটে
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নামার আগমুহূর্তেই ঘটে পরপর দু’টি বিস্ফোরণ। বিমানবন্দরের আব্বি গেটে তখন ছিল দেশ ছাড়তে মরিয়া কয়েক হাজার মানুষের ভিড়। জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় সেখানে আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে ছিল মার্কিন সেনারা। বোমা বিস্ফোরণের পরপরই যেন নেমে আসে রাত।
কী হয়েছে, তা বোঝার ক্ষমতাও যেন হারিয়ে ফেলেছে অনেকে। বিমানের সিকিউরিটি ক্যানালে তখন দেখা যায় হতাহতদের ক্ষতবিক্ষত দেহ আর রক্তের স্রোত। বোমা আর গুলির আওয়াজ যারা শুনেছে, ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়াতে দেখা গেছে তাদের। যেন হঠাৎ বাঁধভাঙা পানির জোয়ার।
হামলার দায় স্বীকার
নিজেদের নিউজ আউটলেটের টেলিগ্রাম চ্যানেলে কাবুল বিমানবন্দরে হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। এতে বলা হয়েছে, একজন আত্মঘাতীকে দিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে। সে আফগান ও মার্কিন বাহিনীর মাঝামাঝি অবস্থানে থেকে বোমার বিস্ফোরণ ঘটনায়। যুক্তরাষ্ট্র আগেই জানিয়েছিল হামলার সাথে আইএসের জড়িত থাকার কথা।
প্রতিক্রিয়ায় কী বললেন বাইডেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, সেন্যরা প্রাণ হারালেও কাবুল থেকে মানুষ সরিয়ে নেয়ার মিশন চলবে। নিহত সৈন্যদের প্রশংসাও করেন তিনি। বাইডেন বলেন, যে বা যারা এই হামলা চালিয়েছে, তাদের কোন ক্ষমা নেই। আমেরিকা এই ক্ষতি মনে রাখবে এবং সময় মতো এর পরিণাম বুঝিয়ে দেবে।
হামলা হতে পারে, জানা ছিল সবার
সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় বুধবার রাতে হাই-অ্যার্লাট জারি করে যুক্তরাষ্ট্রসহ তিন দেশ। সতর্ক নির্দেশনায় নাগরিকদের বিমানবন্দর এড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়।
আটকা পড়েছেন ১৫ বাংলাদেশি
কাবুল বিমানবন্দরে এ সময় অনেকের সাথে আটকা পড়েন ১৫ বাংলাদেশী নাগরিক। জাতিসংঘের সহায়তায় বিশেষ বিমানে আফগানিস্তান ছাড়ার অনুমতি পান তারা। একই বিমানে আসার কথা চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ উইমেনের ১৬০ জন আফগান শিক্ষার্থীর।
বিমানবন্দরে সবার নিরাপত্তায় এখন আরও নিবিড়ভাবে কাজ করছে মার্কিন ও তালেবান প্রশাসন।