সাইকোহেলথ প্রতিবেদক
মরণব্যাধি ক্যানসার কেবল চিকিৎসকদের নয়, বরং এটা ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য, বন্ধু, স্বজন সবার বিষয়। এই রোগ নিরাময়ের পর্যায় যাদের পেরিয়ে গেছে, কিংবা ক্যানসারজনিত কষ্টের তীব্রতা যাদের বেঁচে থাকাকে অসহনীয় করে তুলেছে, তাদের জন্য প্রশমন সেবা নিয়েও ভাবতে হবে।
শুক্রবার (১০ মে) কৃষিবিদ ইনস্টিউশনের চার তলায় থ্রি-ডি মিলনায়তনে বিকেলে কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টারের আয়োজনে ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ও তৃতীয় সমাজভিত্তিক ক্যানসার সম্মেলন অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিশিষ্টজনেরা আরও বলেন, ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসার খরচ সামলাতে গিয়ে পুরো পরিবার পথে বসল কি না, তাও ভাবতে হবে। ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে জীবন জয় করে এনেছেন যারা, তাদের অভিজ্ঞতার কথাও জানতে চাওয়া হয়। সবাই মিলে অভিজ্ঞতার আদান-প্রদান করে ক্যানসার থেকে বাঁচার ও বাঁচানোর উপায় বের করতে হবে।
সম্মেলনে বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ উপস্থাপন ছাড়াও ক্যানসারের আর্থ-সামাজিক প্রভাব, ক্যানসার জয়ীদের অভিজ্ঞতা ও সমাজভিত্তিক ক্যানসার সেবার অভিজ্ঞতা এবং সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় ক্যান্সার থেকে নতুন প্রজন্মকে বাঁচতে মদ, ধুমপান, জাঙ্ক ফুড এবং ফসল উৎপাদনে অতিরিক্ত সার ব্যবহার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আব্দুস সামাদ, সাবেক স্বাস্থ্য সচিব সিরাজুল ইসলাম খান, বারডেমের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক একেএম নুরুন্নবী, প্রজনন ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. হালিদা হানুম আখতার, বিএসএমএমইউ উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, চিকিৎসা শিক্ষা সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আমিরুল মোর্শেদ খসরু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আব্দুল হামিদ, বিএসএমএমইউ গাইনি অনকোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাবেরা খাতুন।
এছাড়া বক্তব্য দেন সম্মেলন আয়োজন কমিটির সভাপতি ও কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন।