সাইকোহেলথ বিডি কেন? এ প্রশ্নের উত্তরই সবার আগে।
অনলাইন জগতে বাংলা হেলথ সাইটগুলো থেকে কিছুটা বৈচিত্র্য বা ভিন্নতা আনতেই আসলে আমাদের এই সুচিন্তিত প্রয়াস। আমরা এখানে স্বাস্থ্য বলতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া সংজ্ঞা মেনে শারীরিক ও মানসিক দু’টি ভাগে বিভক্ত রেখেছি। আমাদের স্বাস্থ্যকথা সে আঙ্গিকেই তৈরি। অন্য সাইটগুলোতে আপনি শারীরিক স্বাস্থ্য বিষয়ক যাবতীয় তথ্য পাবেন।
কিন্তু আমরা মানসিক স্বাস্থ্যকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে সাইটটি এমনভাবে ডেভেলপ করছি, যাতে আপনি বুঝতে পারেন, মন ও শরীর এবং পারিপার্শ্বিকতা নিয়েই আমাদের এই বর্তমান সভ্যতা। যুক্ত করেছি লাইফস্টাইল। এ ধরনের সাইট বাংলাদেশে প্রথম বলতে পারেন।
এবার দিব, কেন নিউজ পোর্টালে সীমাবদ্ধ থাকলাম না, সে জবাব। দেখুন, নতুন হলেও বাংলাদেশেও এমন অনেক সাইট আছে, যেখানে কেবল মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলছে। কিন্তু আমরা চেয়েছি, স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিপূর্ণতা। এ কারণেই সাইটে যুক্ত রেখেছি গবেষণা তথ্য। যেখানে থাকছে দেশি-বিদেশি গবেষণা প্রবন্ধের বাংলা সারসংক্ষেপ ও প্রয়োজনীয় লিঙ্ক। যা শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ শিক্ষিত সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পাথেয় হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
আমরা এমন এক সময়ে বেড়ে উঠছি; যে সময়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য যে কারো পথই বন্ধুর। সচেতনভাবেই তাই আমরা আমাদের গোটা সাইটটিতে অযথা বাক-বিতণ্ডার নামে কুপমণ্ডুকতা এড়িয়ে চলবো। এটাই আমাদের এডিটোরিয়াল পলিসি। তবে কোন বিষয়ের পক্ষে বা বিপক্ষে মতামত থাকতেই পারে।
আপাতত মতামত শাখাকে আমরা দু’টি ভাগে ভাগ করেছি। একটি শিশু বিষয়ক, অন্যটি তরুণকণ্ঠ; যেখানে সহজ জ্ঞানগর্ভ কথাই বেশি প্রাধান্য পাবে। মতামত শাখার যে কোন মন্তব্য, অনুযোগ বা উদ্ধৃতির দায়দায়িত্ব নিশ্চয়ই সাইকোহেলথবিডি কর্তৃপক্ষের নয়, পুরোটাই বিশেষজ্ঞ লেখকের নিজের।
আমরা আগেই বলেছি, মানসিক স্বাস্থ্যকেই বেশি গুরুত্ব দেবে এই সাইট। মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাই থাকছে মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা। আসলে আমরা এখানে সে সমস্ত ভিডিও লিঙ্কের সমাবেশ ঘটাবো, যেখান থেকে জনসচেতনতা বাড়তে পারে বা শিক্ষণীয়। অনলাইনে এমন কোন ভিডিও আপনার ভাল লেগে থাকলে, আপনি এর লিঙ্ক আমাদের প্রস্তাব করতে পারেন। টপ মেনুতে ভিডিও ছাড়াও পাবেন অডিও বক্তৃতা বা সংবাদের ছবি এবং গল্প।
আমাদের মূল লক্ষ্য মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য এবং সমাজে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার নানা অনুসঙ্গ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, সেবাতথ্য দিয়ে সাহায্য করা। এক্ষেত্রে সরকারের কল্যাণমূলক কাজও প্রশংসার দাবি রাখবে। এছাড়া পাঠক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সচেতন মহল ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। তাঁরাই আমাদের মূল চালিকাশক্তি। আপনাদের সুচিন্তিত মতামত আমাদের চলার পথকে আরো সুগম করবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি। সাইটটিতে আর কী কী যুক্ত করতে পারি, জানাবেন।