সাইকোহেলথ নিউজ ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
গাজায় বিমান হামলার খবর প্রচারের ইস্যুতে ইসরায়েলে আল জাজিরা বন্ধ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে দেশটি। সংবাদমাধ্যমটি হামাসকে সাহায্য করছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
কাতারভিত্তিক নেটওয়ার্ক আল জাজিরা আরবি ভাষার সবচেয়ে বড় নিউজ আউটলেট। সংবাদমাধ্যমটি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের অন্যান্য দখলকৃত অঞ্চল থেকে টিভি মাধ্যম ও অনলাইনে গাজা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিনিয়ত খবর সরবরাহ যাচ্ছে।
শুক্রবার আইটুয়েন্টিফোর নিউজ ও টাইমস অফ ইসরায়েলসহ বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানায়, ইসরায়েল সরকার ‘জরুরি প্রবিধান’ অনুমোদন করেছে। যার আওতায় ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তাবিরোধী’ কাজ মনে হলে যেকোনো সংবাদমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া যাবে।
ইসরায়েলের যোগাযোগমন্ত্রী শ্লোমো কারহি বলেন, ইসরায়েল এখন ‘স্থলে, আকাশে, সমুদ্রে এবং সরকারি কূটনৈতিক ফ্রন্টে’ যুদ্ধে লিপ্ত আছে।
আল জাজিরা বন্ধ করে দেওয়ার আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের অনুমোদন নিতে হবে। তিনি নতুন প্রবিধানে স্বাক্ষর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করার প্রবিধান প্রণয়ন করা হলেও, ৩০ দিনের বিরতিতে ফের নিষেধাজ্ঞা নবায়ন করা যাবে।
নতুন প্রবিধান অনুসারে, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সম্মতিক্রমে প্রশ্নবিদ্ধ যেকোনো নিউজ আউটলেটের সম্প্রচার বন্ধ করতে টিভি প্রোভাইডারদের আদেশ দিতে পারবেন যোগাযোগমন্ত্রী। একইসঙ্গে ইসরায়েলে ওই নিউজ আউটলেটের কার্যালয় বন্ধ করার, তাদের সরঞ্জামাদি জব্দ করার এবং তাদের ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিতে পারবেন।
ব্যাপক পরিসরে ইসরায়েল বিরোধী মতামত প্রচার করায় আল জাজিরার বিরুদ্ধে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
শুধু সংবাদমাধ্যমই নয়, ‘জাতীয় মনোবলের ক্ষতি করা’ যেকোনো সাংবাদিককে টার্গেট করার প্রস্তাব দিয়েছেন কারহি। তার প্রস্তাব অনুসারে, সরকার অনাকাঙ্ক্ষিত মনে করে এমন যেকোনো বক্তব্য দেওয়ার জন্য সাংবাদিক ও অন্যান্য নাগরিকের বাড়ি তল্লাশি করতে পারবে রাষ্ট্র।
গাজা থেকে ব্যাপক পরিসরে খবর সংগ্রহ করে আল জাজিরা। ইসরায়েলের সঙ্গে শীতল সম্পর্ক রয়েছে নেটওয়ার্কটির।
২০২২ সালে জেনিনে রিপোর্টিং করা অবস্থায় আল জাজিরার ফিলিস্তিনি-মার্কিন সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকে গুলি করে হত্যা করেন এক ইসরায়েলি সৈন্য।