সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে কিছুটা ভাটা পড়ে। নয়াদিল্লি বাংলাদেশিদের ভিসা সিমিত করলে ওই টানাপোড়েন প্রকাশ্যে আসে। এর ফলে ভারতে চিকিৎসা নিতে ভিসার আবেদনকারী অসুস্থ রোগীরা কিছুটা বিপাকে পড়েন।
তারপর থেকে অনেক বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরে যাওয়া শুরু করেন। এ অবস্থায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল বেইজিং। এরই মধ্যে জানা গেল, বাংলাদেশে উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে তিনটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে চীন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর জানান, বাংলাদেশে চীনের সহায়তায় তিনটি বড় হাসপাতাল তৈরির প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে নীলফামারীতে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল করবে চীন। প্রাথমিকভাবে ১৬ একরের মতো একটি জায়গা নির্বাচন করা হয়েছে। এটার দেখভাল করছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
আরেকটি হাসপাতাল তৈরি করা হবে সাভারের ধামরাইয়ে। এটি হবে পুর্নবাসন প্রতিষ্ঠান। এখানে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনায় আহতদের সেবা দেওয়া হবে। এছাড়া চট্টগ্রামে ৫০০ থেকে ৭০০ শয্যার আরও একটি হাসপাতাল তৈরির প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এটা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।
এর বাইরে চীনের অর্থায়নে চট্টগ্রামে বার্ন ও প্লাস্টিক ইউনিট পরিচালিত হচ্ছে। রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডা. আবু জাফর।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে হাসপাতাল করবে চীন। এ হাসপাতাল নীলফামারীতে নির্মাণের সম্ভাবনা আছে। এটি এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল করবে চীন। হাসপাতাল করার জন্য জমি খোঁজা হচ্ছে।