হেলথ ডেস্ক
মৃগীরোগীর সুচিকিৎসায় গাইড লাইনের উদ্বোধন করেছেন স্বাস্থমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বুধবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকার হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন তিনি। সোসাইটি অফ নিউরোলজিস্ট অফ বাংলাদেশের উদ্যোগে এই গাইড লাইন প্রস্তুত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এবং বিসিপিএস সভাপতি অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সোসাইটি অফ নিউরোলজিস্ট বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফিরোজ আহমেদ কোরাইশী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাসান জাহিদুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আহসান হাবীব, সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুভাষ কান্তি দে এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে মৃগী রোগের চিকিৎসায় দেশে আধুনিক মানের ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার ঘোষণা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, মৃগীরোগ নিয়ে একসময় ভুল ধারণা ছিল। বলা হতো ভুতে ধরেছে। কিন্তু এটা ভুল ধারণা। গর্ভবতী মা যদি আঘাতপ্রাপ্ত হন বা প্রসবের সময় মায়ের অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দেয়, তবে নবজাতকের মাঝে বা শিশুর মাঝে মৃগীরোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সকলকে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান মন্ত্রী। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য মৃগীরোগীদের সহানুভূতির সাথে চিকিৎসাসেবা প্রদানের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মৃগীরোগ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ এই রোগের চিকিৎসার বিষয়ে সুযোগ-সুবিধা আরো বৃদ্ধি করা হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজি বিভাগ, শিশু নিউরোলজি বিভাগ, ইপনা মৃগীরোগীদের চিকিৎসাসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্বে প্রায় পাঁচ কোটি লোক মৃগীরোগে আক্রান্ত। বাংলাদেশে প্রতি হাজারে প্রায় ৮.৪ জন মানুষ এই রোগে ভুগছে।
সেই হিসেবে এদেশে প্রায় পৌনে ১৪ লক্ষ মৃগীরোগী আছে। শতকরা প্রায় ৮০ জন মৃগীরোগী উন্নয়নশীল, দরিদ্র, মধ্যম আয়ের অথবা স্বল্প বিশেষজ্ঞ সম্পন্ন দেশে বিদ্যমান। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা নিলে ৭০ ভাগ মৃগীরোগী ভালো থাকে।