ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
নিষিদ্ধ উপন্যাস স্যাটানিক ভার্সেসের লেখক সালমান রুশদিকে রাখা হয়েছে ভেন্টিলেশনে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এক চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে তার।
নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় সালমান রুশদিকে ছুরিকাঘাত করে এক যুবক। ২৪ বছর বয়সী ওই যুবক নিউজার্সির বাসিন্দা। তার পরিবারের আদ্যোপান্ত খুঁজছে পুলিশ।
নিজের লেখা বই সম্পর্কে বলতে যাবেন, এমন মুহুর্তেই দৌড়ে স্টেজে উঠে বিতর্কিত লেখক সালমান রুশদির ঘাড়ে ও পেটে একের পর এক ছুরিকাঘাত করে এক যুবক। উপস্থিত দর্শক-শ্রোতার সহায়তায় তাৎক্ষণিকভাবে আটক করা হয় হাদি মাতার নামে ২৪ বছর বয়সী এক যুবককে।
কিন্তু তার আগেই যা হওয়ার হয়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে ৭৫ বছর বয়সী রুশদিকে নেয়া হয় পেনসিলভেনিয়ার একটি হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানায়, ছুরির খোঁচায় ফুটো হয়ে গেছে রুশদির লিভার। কথাও বলতে পারছেন না তিনি।
সালমান রুশদির জন্ম ও বেড়ে ওঠা ভারতের মুম্বাইয়ে। ১৯৮১ সালেই মিডনাইটস চিলড্রেন লিখে ব্রিটিশ পাঠকদের নজর কাড়েন তিনি। ১৯৮৮ সালে তার স্যাটানিক ভার্সেস লিখে মুসলমানদের তোপের মুখে পড়েন রুশদি।
শেষ নবীকে নিয়ে কটুক্তি করায় তাকে হত্যার ফতোয়া দেন ইরানের তৎকালীন ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেইনি। এক পর্যায়ে ভারতেও নিষিদ্ধ হন রুশদি। আশ্রয় নেন যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ হয় স্যাটানিক ভার্সেস।
হাদি মাতারের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ছুরিকাঘাতকারী হাদি মাতারের বাড়ি নিউজার্সির ফেয়ার ফিউয়ে। এখন পর্যন্ত হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে পারেনি গোয়েন্দারা।
এ কারণে হাদির পরিবার ও বংশপরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উঠেপড়ে লেগেছে তারা। নিউজার্সির বাড়িটিও ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী। বিশেষ করে হাদির সাথে ইরানের বা এর রেভুলুশনারি গার্ড বাহিনীর যোগাযোগ রয়েছে কি-না, তা খদিয়ে দেখছে নিউইয়র্ক পুলিশ।