সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসায় কালমেঘের (ভেষজ উদ্ভিদ) ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
ট্রায়ালের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আইয়ুব আল মামুন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের ডিভিশন প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।
এসময় ট্রায়াল উপস্থাপন করেন বিভাগের রেসিডেন্ট ডা. মো. সাবিবর হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসা ক্ষেত্রে গবেষণার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েও সাম্প্রতিক সময়ে এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির হেপাটোলজি বিভাগে হেপাটাইটিস বি রোগের নতুন আবিষ্কৃত ওষুধ ন্যাসভ্যাকের অধিকতর গবেষণার কাজ চলছে।
কোভিডের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইরাসটির ফুল জেনোম সিকুয়েন্সিং করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বাজেট পাঁচ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে সম্প্রতি ২০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণায় উৎসাহিত করার জন্য প্রবর্তন করা হয়েছে ভাইস-চ্যান্সেলর পদক।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ জনের অধিক পোস্টগ্রাজুয়েট চিকিৎসক পিএইচডি করছেন। অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল তার মূল প্রবন্ধের জানান, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের ৭৪ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের বিপরীতে প্রতিবেশী ভারত প্রতিবছর আয়ুর্বেদ খাত থেকে উপার্জন করছে ৮০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
অথচ আমরা আমাদের এক সময়কার ঐতিহ্যবাহী আয়ুর্বেদ ও হেকিমি চিকিৎসা শাস্ত্র হারিয়ে বসতে বসেছি। আমাদের দেশে এই শাস্ত্রগুলোর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জ্ঞান আর এ দেশের স্থানীয় হার্বাল ওষুধগুলোকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে ঠিকমত উপস্থাপন করা সম্ভব হলে বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারবে।
তিনি আরও জানান, হার্বাল বিষয়ে কার্যকর গবেষণার জন্য তারা এরই মধ্যে জাপান, ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের সাথে গবেষণা কোলাবরেশন গড়ে তুলেছেন।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ অ্যান্ড সায়েন্সেসের চিফ সায়েন্টিস্ট ড. গাজী নুরুন নাহার সুলতানা ও প্রিন্সিপাল সাইন্টিস্ট ড. জাকির সুলতান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি এবং ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ ও অধ্যাপক ড. শেখ জহির রায়হান প্রমুখ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।