সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
ডাক্তারি পড়া শেষ করার পর জানা গেলো মেডিকেল কলেজের রেজিস্ট্রেশনই ছিলো ভুয়া। এমন জালিয়াতি করেছে রংপুরের নর্দান প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ। এতে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশ ও নেপালের আড়াইশো শিক্ষার্থী।
এমবিবিএস পাস করে মানুষের সুচিকিৎসায় নামার কথা ছিলো এ সব শিক্ষার্থীদের। কিন্তু এখন নিজেদের মেধা আর পরিশ্রমের স্বীকৃতি আদায়ে রাস্তায় নামতে হয়েছে তাদের।
রংপুরের কলেজ ক্যাম্পাসে আন্দোলনের পর এবার শিক্ষার্থীরা মানবন্ধন করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। তারা জানান, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত নর্দান মেডিকেল কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয় ২০১৪ সালে।
এরপরও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে আড়াইশ’ শিক্ষার্থী ভর্তি করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। প্রত্যেকের কাছ থেকে নেওয়া হয় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা। ইন্টার্ন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা দেখেন কলেজের রেজিস্ট্রেশনই নেই।
ওই মেডিকেল কলেজের দুই ব্যাচে নেপালের ৩২ জন শিক্ষার্থীও ভর্তি হন। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে নিজদেশের দূতাবাসের মাধ্যমেই ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করেন তারা। কিন্তু এমন প্রতারণায় হতবাক ও হতাশাগ্রস্ত তারাও।
২০১৬ সালে কলেজটিকে এমবিবিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করার নোটিশ দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তারপরও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম চালায় তারা।
বেসরকারি কলেজের নীতিমালা অনুসারে কোনো কলেজের অনুমোদন বাতিল হলে শিক্ষার্থীদের অন্য কলেজে স্থানান্তরের সুযোগ দিতে হবে। আপাতত এই নীতিমালাই হতভাগ্য শিক্ষার্থীদের কাছে আশার আলো। তবে এ ধরণের প্রতারণা ও জালিয়াতি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি ভুক্তভোগীদের।