আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে জর্ডানের বিমান হামলায় বৃহস্পতিবার সকালে শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়েছে বলে ধারণা প্রকাশ করেছে সিরিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যম এবং সংঘাত পযর্বেক্ষকরা।
তবে জর্ডান কর্তৃপক্ষ এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
জর্ডানের সেনাবাহিনী সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহে মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করেছে। গতমাসে ইরান-পন্থি কয়েকজন সন্দেহভাজন জঙ্গির সঙ্গে সংঘাতের পর এ অভিযান শুরু হয়েছে।
এই জঙ্গিরা জর্ডানের সিরিয়া সীমান্তে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ বিপুল পরিমাণ মাদক বহন করছিল। স্থানীয় পত্রিকা শাম এফএম বলেছে, জর্ডানের বিমান হামলা হয়েছে দক্ষিণ সিরিয়ার সুওয়াইদা প্রদেশের আরমান শহরের দুটো বাড়িতে। স্থানীয় পত্রিকাতে বলা হচ্ছে, দক্ষিণ সিরিয়ার সুওয়াইদা প্রদেশের আরমান শহরের দুটো বাড়িতে হামলা হয়েছে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
সিরিয়ার নিউজ পোর্টাল সুওয়াইদাটোয়েন্টিফোর প্রদেশটিতে ঘটা সবকিছু দেখভাল করে। তারা বলেছে, রাতভর অবিরাম বিমান হামলা জর্ডান সীমান্তের কাছে প্রদেশটির দক্ষিণ-পূর্বে আরমানের আবাসিক ভবনগুলোতে আঘাত হেনেছে।
খবরে আরও বলা হয়েছে, দুই শিশু, পাঁচ নারী এবং তিন পুরুষ নিয়ে মোট ১০ জন নিহত হয়েছে। তবে হামলাটি জর্ডানের বলে শনাক্ত করা হয়নি।
জর্ডান এবং এর পশ্চিমা মিত্রদেশগুলো চোরকারবার বেড়ে যাওয়ার জন্য লেবানন ভিত্তিক, ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ এবং সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের বেশিভাগ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে রাখা অন্যান্য ইরান-পন্থি গোষ্ঠীগুলোকে দোষারোপ করেছে।
তবে অন্যদিকে ইরান এবং হিজবুল্লাহ এসব অভিযোগ সিরিয়ার ও তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে পশ্চিমা চক্রান্ত বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা মাদক উৎপাদন এবং চোরাচালানে জড়িত থাকার কথাও অস্বীকার করেছে।
সিরিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষক সংগঠন ‘দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ বলেছে, সুওয়াইদায় জর্ডানের বিমান হামলায় দুই শিশুসহ অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে।