ভারতের আধার প্রকল্পে বাংলাদেশের টাইগার আইটি

আধার প্রকল্প, জাতীয় পরিচয়পত্র, টাইগার আইটি, নির্বাচন কমিশন,

নিজেদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা আধার প্রকল্পের তথ্য সংরক্ষণে বাংলাদেশের খ্যাতনামা আইটি প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটির বায়োমেট্রিক (এসডিকে) সফটওয়্যার ব্যবহার করছে ভারত। এই সফটওয়্যার ব্যক্তির তথ্যকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিতে সক্ষম বলে স্বীকৃতি দিয়েছে সেদেশের উচ্চ আদালত। আধারের বায়োমেট্রিক তথ্য অন্যান্য সেবাসমূহের সঙ্গে দাখিল করতে সরকার বাধ্যতামূলক করায় তা গড়ায় আদালতে।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বায়োমেট্রিক তথ্য রয়েছে ভারতের জাতীয় আইডি প্রকল্প আধারের কাছে। ভারতের আদালত বলছে, আধার প্রকল্পে ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ নেওয়া হচ্ছে, যা হ্যাকারদের পক্ষে চুরি করা সম্ভব। এর মাধ্যমে ব্যক্তির ব্যাংক ও বীমা সংক্রান্ত তথ্যও চুরি হতে পারে। এই সমস্যা মোকাবেলায় বাংলাদেশের টাইগার আইটি একটি সফটওয়্যার এবং রেনেসাস সেমিকন্ডাক্টর একটি হার্ডওয়্যার তৈরি করেছে, যা আধার প্রকল্পে তথ্যের নিরাপত্তার ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম।

টাইগার আইটির কর্মকর্তারা বলছেন, হার্ডওয়্যার ডিভাইসটি এনআইএসটি সার্টিফাইড বায়োমেট্রিক এসডিকে এবং অ্যাসিমেট্রিক এনক্রিপশন দ্বারা সুরক্ষিত। এর নিরাপত্তা ভেদ করা হ্যাকারদের পক্ষে অসম্ভব। ভারত ও বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রাজিল, চীন, ফ্রান্স ও ইইউভুক্ত দেশগুলো নানাবিদ কারণে বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করছে। এসব দেশে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই সফটওয়্যার ও ডিভাইস রপ্তানির সুযোগ রয়েছে বলেও মনে করে টাইগার আইটি।

ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্কিংয়ের এই যুগে মানুষকে সুফল দেওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে প্রযুক্তি। ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করা হচ্ছে, একই সঙ্গে ব্যক্তির ব্যাংক ও ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত তথ্যও চুরি হয়ে যাচ্ছে। ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার বিষয়ে তাই সচেতনতা বাড়ছে।

বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটি এরই মধ্যে বাংলাদেশের ভোটার তথ্য সংরক্ষণে ই-সেবা ও কারিগরি সহায়তা দিয়েছে। বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আনুমানিক দেড় হাজার প্রকল্পে টাইগার আইটির সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন রাজ্যের ড্রাগ লাইসেন্স প্রজেক্টেও কাজ করছে টাইগার আইটির সফটওয়্যার।এছাড়া অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সেমিকন্ডাক্টর প্রতিষ্ঠান রেনেসাস সেমিকন্ডাক্টর। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে জাপানের এনইসি কর্পোরেশনের সঙ্গে একীভূত হয়ে কাজ করছে।