বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর রাষ্ট্রের বিরুদ্ধাচারণ- সরকারি কর্মকর্তা ফোরাম

সরকারি কর্মকর্তা ফোরাম

সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর রাষ্ট্রের বিরুদ্ধাচারণ বলে মনে করে সরকারি কর্মকর্তা ফোরাম। যেকোন মূল্যে এদেশে বঙ্গবন্ধুর সম্মান অক্ষুন্ন রাখা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ফোরামের নেতারা। ‘জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ঢাকায় প্রতিবাদ সমাবেশে কর্মকর্তারা এ কথা বলেন।

ঢাকাসহ সারাদেশে সমাবেশ করে এই প্রতিজ্ঞা করেন বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তারা। সমাবেশে নন ক্যাডার কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সরকারি কর্মকর্তা ফোরাম প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘এখানে দাঁড়িয়ে প্রতিজ্ঞা করছি যে, আমাদের জীবদ্দশায় জাতির পিতার অসম্মান হতে দেব না, এটাই হলো আজকের অঙ্গীকার। ২৯টি ক্যাডার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের মাঝে অনেক সময় অনেক বিষয় নিয়ে মতানৈক্য বা মতবিরোধ হয় কিন্তু আজকে বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে প্রতিবাদ সমাবেশে সবাই ঐক্যবদ্ধ। এটা হলো জাতির পিতার শক্তি’।

এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ এ্যাডমিনিষ্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন সমাবেশে বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের প্রাণের স্পন্দন। এর সাথে মিশে আছে সবার আবেগ-অনুভূতি ও স্পন্দন। জাতীয় ঐক্যের প্রতীক বঙ্গবন্ধু। তিনি স্বাধীনতার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

প্রতিবাদ সভায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর রাষ্ট্রের বিরুদ্ধাচারণ উল্লেখ করে পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘রাষ্ট্র, দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের হামলা অবশ্যই এ দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে’। আইজিপি বলেন, সম্প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে যে ন্যাক্কারজনক হামলা হয়েছে, রাতের অন্ধকারে যারা ভাংচুর করেছে, তাদের প্রতি তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা প্রকাশের ভাষা নেই।

আইজিপি বলেন, ‘আজকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ, তাঁর নেতৃত্বে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’ বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশের সংবিধানের অংশ। বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানচিত্র দিয়েছেন, পতাকা দিয়েছেন, বাংলা ভাষার স্বীকৃতি দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের উপর হামলা মানে সংবিধান, রাষ্ট্র ও দেশের জনগণের উপর হামলা।’

খাদ্য সচিব নাজমানারা খানুম, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আ. ম. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খন্দকার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৯টি ক্যাডারের প্রতিনিধিরা প্রতিবাদ সভায় বক্তৃতা করেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার (সচিব) ও বিসিএস তথ্য-বেতার কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন।