বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালইজড হাসপাতাল উদ্বোধন

বিএসএমএমইউ

সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক

চালু হলো বহু প্রতীক্ষিত বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। কম খরচে বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রদানের লক্ষে দেশে এই ধরনের হাসপাতাল এটাই প্রথম।

গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষায়িত এই হাসপাতাল বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে ইচ্ছুক অনেক বাংলাদেশীর জন্য বিকল্প হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কারা চিকিৎসা পাবেন

অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও অপারেশন থিয়েটার যুক্ত এই হাসপাতালে যে কোন সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতাল বা চিকিৎসক দ্বারা রেফার করা গুরুতর রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হবে।

হাসপাতালে যা আছে

আউটডোর পরিষেবা পাবেন প্রায় ৫ থেকে ৮ হাজার রোগী। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাসপাতালে ৭৫০ শয্যা থাকবে। এছাড়াও থাকছে ১৪টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, একশ’ শয্যার ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, একশ’ শয্যার জরুরি ইউনিট, ছয়টি ভিভিআইপি এবং ২২টি ভিআইপি কেবিন এবং ২৫টি ডিলাক্স কেবিন।

বিশেষায়িত পরিষেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন, জিন থেরাপি ও রোবোটিক সার্জারি। বিশেষ চিকিৎসা প্রয়োজনের জন্য ছয়টি মনোনীত কেন্দ্রও থাকবে, যেখানে প্রতিটি ওয়ার্ডে আটটি শয্যা থাকবে।

ছয়টি মনোনীত কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে বিশেষায়িত অটিজম, মাতৃকালীন যত্ন ও শিশু যত্ন, জরুরি চিকিৎসা সেবা, হেপাটোবিলিয়ারি এবং গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি, কার্ডিওলজি ও সেরিব্রোভাসকুলার ডিজিজ এবং প্রাথমিক পর্যায়ে নেফ্রোলজি।

মাধ্যমিক পর্যায়ের কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্বাসযন্ত্রের ওষুধ, সাধারণ অস্ত্রোপচার, চক্ষুবিদ্যা, দন্তচিকিৎসা, চর্মরোগ বিদ্যা, ও শারীরিক ওষুধ ও পুনর্বাসন।
হাসপাতালে ৩শ’ চিকিৎসকসহ প্রায় ১৫শ’ স্বাস্থ্যসেবা কর্মী রোগীদের পরিষেবা দেবেন।

প্রশিক্ষিত কর্মী বাহিনী

ইতোমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন কমপক্ষে ১২০ জন চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তা। হাসপাতালের প্রতিটি কর্মকান্ড একটি স্বয়ংক্রিয় সিস্টেমের মাধ্যমে করা হবে এবং রোগীর তথ্য ১০০ বছরের জন্য রেকর্ড করা হবে।

এই প্রকল্প ২০১৬ সালে সাধারণ এবং জটিল রোগের চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে বিএসএমএমইউ-এর সক্ষমতা বৃদ্ধি, চিকিৎসা সেবা ও ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নের মাধ্যমে একটি ‘নিরাপত্তা নেট হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা এবং পেশাদারদের দক্ষতা উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষে নেওয়া হয়েছিল।

প্রকল্প ব্যয়

প্রকল্পের ব্যয় মোট ১ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল দিয়েছে এক হাজার কোটি টাকা। যেখানে সরকার বরাদ্দ করেছে ৩৩০ কোটি টাকা এবং বিএসএমএমইউ ১৭০ কোটি টাকা।