ক্যান্সার রোগ নিরূপনে পিঁপড়ার ব্যবহার নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা

ডা. সাঈদ এনাম, আত্মহত্যার চিন্তা,

ডা. সাঈদ এনাম

ক্যান্সার আক্রান্ত কোষ থেকে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নি:সৃত হয়। যা নিখুঁতভাবে সনাক্ত করবে পিঁপড়া। ডায়াগনোসিস হবে ক্যান্সার।

পিঁপড়া সুশৃঙ্খল জাতি। দলবদ্ধভাবে চলাফেরা করে। এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নি:সরণের মাধ্যমে পিঁপড়া পরস্পরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে।

একটি পিঁপড়া কোথাও যদি খাবারের সন্ধান পায়, তাহলে দেখা যায় খানিক্ষণ পরে শতশত বা হাজার হাজার পিঁপড়া সুশৃঙ্খলভাবে সেই একই পথ দিয়ে খাবারের কাছে যাচ্ছে।
খাবারের সন্ধান পাওয়ার পর পিঁপড়াটি তার পরিভ্রমণ পথকে রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে মার্ক করে রাখে। তারপর সব পিঁপড়া সেই পথেই খাবারের কাছে পৌছায়।

সম্প্রতি কিছু গবেষক বলেছেন, পিঁপড়া পরষ্পরের সাথে যোগাযোগের জন্যে বিশেষ রকমের শব্দও তৈরি করতে পারে।

পিঁপড়াদের এই সব কমিউনিকেশন সিস্টেম গুণাবলী ব্যবহার করে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন মানব শরীরের কোথাও ক্যান্সার আছে কি-না তা প্রাথমিক অবস্থায় থাকতেই নিরূপণের।

পবিত্র আল কোরআনে পিঁপড়া নামে একটি সুরা আছে। সেখানে পিঁপড়ার ক্ষমতা সম্পর্কে রয়েছে নানান ক্লু।

একটি পিঁপড়া অনেক দূর থেকে হজরত সোলাইমান আলাইহে ওয়া সাল্লামকে চিনতে পারে এবং সে তাঁর আগত সেনা দলকেও চিহ্নিত করে। পরে সেই পিঁপড়া অন্য সব পিঁপড়াকে জানান দেয়, সতর্কবার্তা দেয়।

পরবর্তীতে সব পিঁপড়া তাদের নিজস্ব কমিউনিকেশন সিস্টেম ব্যবহার করে সবাই নিজ নিজ গৃহে প্রবেশ করে এবং হজরত সোলাইমান আলাইহে ওয়া সাল্লামের দলবলের পায়ে পৃষ্ঠ হওয়া থেকে রক্ষা পায়। (সুবহানাল্লাহ)

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, সাইকিয়াট্রি, সিলেট মেডিকেল কলেজ; ফেলো, আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাসোসিয়েট মেম্বার, রয়েল কলেজ অব সাইকিয়াট্রিস্ট ইংল্যান্ড; অ্যাসোসিয়েট মেম্বার, রয়েল অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড কলেজ অব সাইকিয়াট্রিস্ট।