সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়াত স্বামী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার ৮০তম জন্মদিন আজ। এ উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনলাইন প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। এতে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন নির্লোভ, নিরহংকার ও সাদা মনের মানুষ।
তিনি বলেণ, বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী ড. ওয়াজেদ মিয়া তাঁর সমগ্র কর্মজীবনে মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা দিয়ে দেশ, জাতি ও জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম সভায় সভাপতিত্ব করে।
এতে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মিজ রীনা পারভীন, রংপুরের জেলা প্রশাসক মো: আসিব আহসান, আনবিক শক্তি কমিশনের ডাইরেক্টর ডা. সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ফাউন্ডেশনের সভাপতি আলহাজ এ কে এম ছায়াদাত হোসেন বকুল, পীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজিমুল ইসলাম শামীম।
ড. ওয়াজেদ মিয়াকে তীক্ষ্ম মেধার অধিকারী ও রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তি ছিলেন বলে উল্লেখ করেন বক্তারা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীকার আন্দোলনে ড. ওয়াজেদ রাজপথে সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন বলেও জানান তাঁরা।
ড. ওয়াজেদ মিয়ার সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ আন্তর্জাতিক আইটি প্রকৌশলী ও কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল আন্তর্জাতিক অটিজম বিশেষজ্ঞ। নাটোরে ড. ওয়াজেদ মিয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান আই সি টি প্রতিমন্ত্রী। একই সাথে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে খ্যাতিমান এ বিজ্ঞানীর আদর্শ তুলে ধরতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ড. ওয়াজেদ মিয়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে যে স্বপ্ন ছিল তা আজ বাস্তবায়নের পথে। বক্তারা আরো বলেন, জাতির জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করায় ড. ওয়াজেদ মিয়া সবার জন্য আদর্শ হয়ে থাকবে এবং তাঁর অবদানের জন্য মানুষ তাকে চিরকাল স্মরণ করবে।
পরে ড. ওয়াজেদ মিয়ার আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।