কোরবানীর পশুর হাটগুলোতে সরকারি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন না করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এ লক্ষ্যে মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গুলশানে নগর ভবনে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ডিএনসিসি এলাকায় স্থাপিত ১টি স্থায়ী ও ৮টি অস্থায়ী পশুর হাট ইজারার কার্যাদেশের শর্তাবলী যথাযথভাবে প্রতিপালনসহ সার্বিক তত্বাবধানের জন্য গঠিত মনিটরিং টিমের সাথে আলোচনায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ইতোমধ্যে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ১৫ সদস্যের একটি মনিটরিং টিম গঠন করে দেয়া হয়েছে। এই টিমে ১৩ জন কাউন্সিলর এবং দু’জন ভেটেরিনারি কর্মকর্তাও রয়েছেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত প্রত্যেকটি পশুর হাটেই সরকারি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধিসমূহ প্রতিপালনে ডিএনসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।
প্রতিটি হাটেই শক্তি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ২ শত প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক, ২ শত গেঞ্জী এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক মাস্ক দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ইজারাদারদের পক্ষ থেকে সকল হাটেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে।
মেয়র বলেন, পশুর হাটগুলোতে সামাজিক দূরত্ব যথাযথভাবে বজায় রাখতে হবে, ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়কে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা এবং শক্তি ফাউন্ডেশনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইমরান আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।