হেলথ ডেস্ক
আজ ১০ সেপ্টেম্বর, বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘কাজের মাঝে জাগাই আশা’। সমাজে কার্যকর ভূমিকা রাখার মাধ্যমে মানুষের বিয়োগাত্মক পরিণতি কমিয়ে আনাই এর লক্ষ্য।
মানুষের অস্বাভাবিক মৃত্যুর যত কারণ আছে, তার মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ আত্মহত্যা। করোনাভাইরাস মহামারীতে বেড়েছে এই প্রবণতা।
বেসরকারি সংস্থা আঁচলের গবেষণা বলছে, ৮ মার্চ ২০২০ থেকে ২৮ ফেব্রæয়ারি ২০২১ পর্যন্ত এক বছরে করোনায় বাংলাদেশে যেখানে ৮ হাজারের কিছু বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আত্মহত্যায় সেখানে প্রাণ হারিয়েছে দ্বিগুণের কাছাকাছি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, প্রতি ৪০ সেকেন্ডে আত্মহত্যায় একজন করে পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। এভাবে প্রতিবছর মরছে ৭ লাখেরও বেশি মানুষ। যার ৭৭ শতাংশই স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটছে। তাদের মধ্যে রয়েছে সব বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ। তবে তরুণদের সংখ্যাই বেশি।
আমরা সবাই জানি, চিরস্থায়ী নয় করোনা মহামারী। কিন্তু আত্মহত্যা প্রবণতা রয়েই যাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর মতে, করোনা মোকাবেলায় যে তোড়জোর, এর ২৫ শতাংশও যদি আত্মহত্যা প্রতিরোধে করা যায়, তবে
আগামী এক বছরে এই প্রবণতা অনেকাংশেই কমে যাবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন সচেতনতা এবং অন্যের প্রতি সহমর্মিতা।
মূলতঃ বড় ধরনের ক্ষতির অভিজ্ঞতা আর তা থেকে জন্ম নেয়া তীব্র কষ্ট ও হতাশাসহ অন্যান্য নেতিবাচক উপাদানের চূড়ান্ত পরিণতি আত্মহত্যা। যার সাথে একান্তভাবে জড়িত আমাদের চারপাশের পরিবেশ আর ব্যক্তির আবেগ বা মন।
প্রতিবছরই পালিত হয় বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। এসডিজি অর্জনেরও অন্যতম মাপকাঠি আত্মহত্যার হার এক তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা। তা সত্বেও এখন পর্যন্ত জাতীয়ভাবে আত্মহত্যা প্রতিরোধ কৌশল নিয়েছে বিশ্বের মাত্র ৩৮টি দেশ। স্বাস্থ্যখাতে বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে অন্তর্ভুক্ত করেছে আরও কিছু দেশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে আত্মহনন কমিয়ে আনতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ বাস্তবায়নের এখনই সময়।