মেন্টাল হেলথ ডেস্ক
উদ্বেগ বা অ্যাংজাইটি একটি সাধারণ আবেগ। বিভিন্ন পরিস্থিতে কম বেশি সবার মাঝে এই উদ্বেগ দেখা যায়। তবে তা বেশি মাত্রায় হলে উদ্বেগজনিত সমস্যা বা অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার হতে পারে।
অল্পবিস্তর অ্যাংজাইটি মানুষকে সাফল্যের পথে নিয়ে যায়। কিন্তু যখন এর আধিক্য হয়, তখন ব্যক্তি অনেক সময় তা আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। সহজেই তা তার স্বাভাবিক দৈনন্দিন কাজ-কর্ম তথা সামাজিক, পারিবারিক ও পেশাগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আমরা যাতে উদ্বেগের ভালো দিককে কাজে লাগিয়ে খারাপ দিককে প্রতিরোধ করতে পারি এবং উদ্বেগজনিত সমস্যা চিহ্নিত করে দ্রুত প্রতিকার করতে পারি, তা নিয়েই দুই পর্বের এই আয়োজন।
প্রথম পর্বে থাকছে উদ্বেগ বা অ্যাংজাইটি কী এবং কেন হয়।
দ্বিতীয় পর্বে থাকছে, অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার হলে আপনি কী করবেন, কখন বিশেষজ্ঞের কাছে যাবেন এবং বতর্মানে কী ধরনের সেবা বাংলাদেশে আছে, সে সম্পর্কে।
উদ্বেগ কী ও কেন
যে কোন মানুষ যখন তখন উদ্বিগ্ন বা ব্যাকুল হতে পারে। এটি একটি সাধারণ ও স্বাভাবিক আবেগ। পরীক্ষার আগের রাতে, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় অথবা কর্মক্ষেত্রে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে আমরা উদ্বিগ্ন হই। উদ্বেগ হলো অপরিচিত বা বিপদজনক পরিস্থিতিতে শরীর ও মনের প্রতিক্রিয়া। এই ধরনের উদ্বেগ আমাদেরকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে যথাযথ প্রস্তুতি নিতে উৎসাহ যোগায়। তখন আমরা অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে সতর্কতা অবলম্বন করি।
উদ্বেগ যখন সমস্যা
উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা যদি দীর্ঘমেয়াদী হয় এবং তা ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবনযাপনে ব্যাঘাত ঘটায়, তখনই আমরা তাকে উদ্বেগজনিত সমস্যা বা অসুস্থতা (অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার) বলে থাকি। অর্থাৎ আতঙ্ক বা উদ্বেগ যদি কারও নিয়মিত কাজ-কর্মে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে, তখনই সেই উদ্বেগকে আমরা অসুস্থতা বলতে পারি।
অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার কেন হয়, সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত পরিষ্কার ধারণা মেলেনি। তবে এই ডিসঅর্ডারের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় কাজ করে থাকে বলে বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে। যেমন- পরিবেশগত চাপ, মস্তিষ্কে রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতা, দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপ, পরিবারের অন্য কারও উদ্বেগজনিত সমস্যা, মানসিক আঘাত বা শারীরিক অসুস্থতা, মাদক নির্ভরশীলতা ইত্যাদি।
এবার পড়ুন উদ্বেগ যখন সমস্যা (পর্ব-২)