ডিপ্রেশন মোকাবেলার ছয় উপায়

ডিপ্রেশন

সম্পাদকীয়

গুরুতর পর্যায়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ডিপ্রেশন আপনি নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এক্ষেত্রে কিছু ব্যক্তিগত কৌশল রয়েছে। এগুলো হলো-

১. মাথা থেকে নেতিবাচক চিন্তা ঝেড়ে ফেলা

অনেক সময় নিজের বা নিজের পরিবার সম্পর্কে আমরা নেতিবাচক ধারণা পোষণ করি। যেমন- চিন্তা করতে থাকি যে, ‘বাসার কেউ আমাকে পরোয়া করে না বা ভালোবাসে না’। কিন্তু ভালো করে খেয়াল করতে দেখা যাবে, আমরা যা ভাবছি, সবক্ষেত্রেই এটা শতভাগ সত্য নয়। ব্যতিক্রম ভালো অনেক কিছুও আছে।

আমরা আমাদের নেতিবাচক চিন্তাকে ইতিবাচক চিন্তা দিয়ে বদলে দিতে পারি। যেমন- আমার পরিবারের লোকজন আমাকে ভালোবাসে এবং অনেকেই আমাকে বোঝে। এছাড়াও নিজের ইতিবাচক দক্ষতা, প্রাপ্তি বা কাজগুলোকে মনে করে আমরা আমাদের নেতিবাচক চিন্তাকে বদলাতে পারি।

২. সক্রিয় থাকা

ব্যায়াম করা বা প্রতিদিন কিছু সময় হাঁটার মাধ্যমে (হতে পারে ৩০ মিনিট) আমরা নিজেকে কর্মক্ষম রাখতে পারি। ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করে আমারা ধীরে ধীরে বড় পদক্ষেপের দিকে এগোতে পারি।

ডিপ্রেশন হলে প্রথম দিকে হতে পারে আপনার বিছানা ছেড়েই উঠতে ইচ্ছে হবে না। তাই প্রথমে বাসার ভিতরে চলাফেরা করব, তারপর বারান্দাসহ ঘুরবো। এভাবে কিছুদিন পর আমি ব্যায়াম করার নির্দিষ্ট স্থানে বা পার্কে যেতে পারি।

৩. কারো সাথে কথা বলা

প্রথমে আপনার কাছের কাউকে একটি ম্যাসেজ পাঠিয়ে বা ম্যাসেজের উত্তর দিয়ে শুরু করতে পারেন। তারপর ধীরে ধীরে একজন থেকে দু’জন, এভাবে যোগাযোগের সংখ্যাটা বাড়াতে পারেন।

৪. বেড়াতে যাওয়া

বন্ধুবান্ধবের সাথে প্রিয় কোন জায়গায় বেড়াতে যেতে পারেন। এতে আপনার গুটিয়ে নেওয়া জীবন আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।

৫. ভালো লাগে এমন কাজ করা

এক সময় যা ভালো লাগতো, বিষন্ন মনে তা ভালো লাগবে এমন নয়। এক সময় যা করতে ভালো লাগতো, এ সময়টাতে তাও দূরুহ মনে হতে পারে। তাই ভালো লাগার অনুভূতিগুলো ফিরিয়ে আনতে একটু একটু ছোট পদক্ষেপ নিতে হবে।

প্রতিদিন অন্তত এমন একটি কাজ করতে হবে, যা আগে খুব ভালো লাগতো। এতে করে ধীরে ধীরে নিজের মাঝে শূন্যতা থেকে পূর্ণতার অনুভূতি আসবে।

৬. সৃজনশীল কাজ করা

সৃজনশীল কাজের অনুভূতি আপনাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করে, কাজের সময়সীমা বেঁধে কাজ শেষ করতে পারলেই আপনার মনমরা ভাব ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। আপনাকে প্রেরণা যোগাবে।

রিলাক্সেশন, সাঁতার কাটা, মজার কথা বলা ও শোনা, নিজেকে সময় দেওয়াকে দৈনন্দিন জীবনের অংশ করে নিন।