রাগ ভালো না কি মন্দ?

ছবি: পিক্সাবে

সম্পাদকীয়

রাগ মানুষের একটি স্বাভাবিক ও সাধারণ আবেগ। পশুপাখির মধ্যেও রাগ নামের এ আবেগটি দেখা যায়। নিয়ন্ত্রিত রাগের ভাল দিকও রয়েছে।

তবে অনেক ক্ষেত্রেই রাগ ক্ষতিকর হয়। রাগের যেমন শারীরিক অভিব্যক্তি রয়েছে, তেমনি আবার এর মানসিক প্রকাশও রয়েছে। রাগ ভালো কি-না মন্দ বুঝতে হলে এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক বিষয়গুলো জানা জরুরি।

ইতিবাচক বিষয়: নিয়ন্ত্রিত রাগ প্রকাশের মাধ্যমে ব্যক্তি তার ইতিবাচক অবস্থান ধরে রাখতে পারে।

রাগ ব্যক্তিকে বুঝতে সাহায্য করে, সে তার মনে আঘাত পাচ্ছে, যা সে পেতে চায় না। এর সাহায্যে নিজের চাহিদা ও চাওয়া বুঝতে পারে এবং প্রকাশের মাধ্যমে মনকে হালকা করতে পারে।

নেতিবাচক বিষয়: রাগ নিয়ন্ত্রণে না থাকাই রাগের নেতিবাচক দিক। রাগের সময় আমাদের হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া, রক্ত চাপ, শরীরের তাপমাত্রা ও শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যায়।

অনিয়ন্ত্রিত রাগের কারণে ব্যক্তি নানা রকম শারীরিক সমস্যায় ভুগতে পারে। যেমন- শরীরের পেছন দিকে ব্যথা, মাথা ব্যথা, ঘুমের সমস্যা, পেটে পীড়া, চামড়ার অসুখ, ঠাণ্ডা লাগা ও ইনফেকশনের সৃষ্টি ইত্যাদি।

অনিয়ন্ত্রিত রাগের ফলে ব্যক্তি নানা রকম মানসিক সমস্যায় পড়েন। যেমন- হতাশ লাগা, মদে বা মাদকে আসক্ত হওয়া, নিজেকে আঘাত বা ক্ষতি করা, হীনমন্যতা তৈরি, মেজাজের গোলযোগ ইত্যাদি।