পর্যাপ্ত ঘুমের ছয় কৌশল

মানসিক স্বাস্থ্য কী

সম্পাদকীয়

 বিশ্বের ৪৫ ভাগ মানুষের ঘুমের সমস্যা তীব্র। তবে ২০১২ সালে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার গবেষণা অনুসারে, আফ্রিকা ও এশিয়ার বাছাইকৃত আট দেশের মধ্যে ঘুমের সমস্যায় বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে।

এর মধ্যে নারীরাই বেশি, ৪০ শতাংশ। এছাড়া ২৩ শতাংশেরও বেশি পুরুষের মধ্যে ঘুমজনিত সমস্যা তীব্র।

ঐ গবেষণায় ঘুমের সামাজিক কয়েকটি কারণও চিহ্নিত করা হয়েছে। যেমন, অল্পশিক্ষা, জীবনসঙ্গীর সাথে না থাকা ও ইচ্ছাকৃত নিম্নমানের জীবন-যাপন করা। গবেষণাটি চালানো হয় পঞ্চাশ ও তদুর্ধ্ব নারী-পুরুষের মধ্যে।

পর্যাপ্ত ঘুমের ছয় কৌশল:

  • রাতে নির্ধারিত সময়ে ঘুমান এবং দিনে ৪৫ মিনিটের বেশি ঘুম এড়িয়ে চলুন।
  • নিয়মিত ও সময় বেঁধে ব্যায়াম করুন বা হাঁটুন।
  • ঘুমানোর আগে ছয় ঘন্টার মধ্যে চা, কফি বা সোডা জাতীয় পানীয় এবং চার ঘন্টার মধ্যে ধুমপান করবেন না।
  • শোবার ঘরে আরামদায়ক তাপমাত্রা এবং বায়ু প্রবাহের জন্য খোলামেলা আছে কি-না খেয়াল রাখুন। ঘুমানোর সময় ঘরকে কোলাহলমুক্ত ও আলোমুক্ত রাখুন।
  • বিছানাকে আরামদায়ক রাখুন। বিছানায় টিভি দেখা, রেডিও শোনা, গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা, সিদ্ধান্ত নেয়া বা সমস্যার সমাধান করা থেকে বিরত থাকুন।
  • বিছানায় যাওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে ঘুম না আসলে অন্য ঘরে যান এবং তন্দ্রাভাব আসার পর আবার বিছানায় ফিরে আসুন।