আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করলো কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ট্রাস্ট

কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ট্রাস্টের নেতৃত্বে ও ইউএনএফপিএ’র সহযোগিতায় ১২টি স্বেচ্ছাসেবী ও নারী সংগঠনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপিত।

১। সকাল ১১টায় স্তন ও জরায়ুমুখের ক্যান্সার সচেতনতায় প্রতীকী ‘জননীর জন্য পদযাত্রা’ আড়ং এর সামনে (লালমাটিয়া) । এখানে স্তন ও জরায়ুমুখের ক্যান্সার সচেতনতা বিষয়ক বাংলায় লেখা লিফলেট বিতরণ করা হয়।

২। সকাল ১১.৩০ মিঃ কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ট্রাস্টে আলোচনা। প্রজনন স্বাস্থ্য ও ক্যান্সারঃ নারী কতটা সচেতন? এ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন -অধ্যাপক সাবেরা খাতুন, চেয়ারম্যান , কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ট্রাস্ট। – ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন, বিভাগীয় প্রধান, ক্যান্সার রোগতত্ত্ব বিভাফ, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল – আতাউর রহমান মিটন, কান্ট্রি ডিরেক্টর, হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড, মোসাররত জাহান সৌরভ, সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী, কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ট্রাস্ট, ডা. ফারহানা, ন্যাশনাল কো-অরডিনেটর, সারভাইকাল ক্যান্সার প্রজেক্ট, ডিজিএইচএস, নাসিমা আলম হাসি, কমিউনিটি অনকোলজি অনকোলজি সেন্টার, শাহানা আলম, পাস্ট প্রেসিডেন্ট, রোটারি ক্লাব অব ঢাকা কাওরানবাজার, তাহমিনা গাফফার, আজীবন সদস্য, কমিউনিটি অনকোলজি ফাউন্ডেশন, বজলুর রহমান, তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের প্রধান, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভারসিটি, সামিয়া আফরিন, নারীপক্ষ, শেফালি হাওলাদার, ওয়াইডাব্লিউসিএ, জীবন কুমার সরকার, ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার সোসাইটি।

৩। ফ্রি স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং (ক্লিনিক্যাল ব্রেস্ট এক্সামিনেশন) ও নারীদের যে কোন ক্যান্সার সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞ পরামর্শ। পরামর্শকঃ অধ্যাপক সাবেরা খাতুন, ডা. হাসানুজ্জামান (সার্জিক্যাল অনকোলজিস্ট)। স্ক্রিনিং পরিচালনাঃ ডা. নওশীন লায়লা ও ডা. মীর্জা সেমন্তি।

আলোচকগণ নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যের সাথে স্তন, জরায়ুমুখসহ প্রজননতন্ত্রের ক্যান্সারের যে সম্পর্ক, সে বিষয়ে সচেতনতার অভাব আছে বলে উল্লেখ করেন। নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজের ও পরিবারের পুরুষ সদস্যের অবহেলার কথাটি আলোচনায় উঠে আসে।

সর্বোপরি, নারীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন অনেকেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থলে নারীদের জন্য নির্দিষ্ট যথেষ্ট সংখ্যক স্বাস্থ্যকর টয়লেট, এবং কর্মস্থলে স্তন্যদায়ী নারীদের শিশুদের জন্য ডে- কেয়ার সেন্টার নির্মানে জনমত সৃষ্টি করতে হবে।

সরকারের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।