করোনায় মারা গেলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি

বাংলা একাডেমি

সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক

বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান আর নেই। বুধবার দুপুর ২টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বিশিষ্ট এই ফোকলোরবিদ। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

শামসুজ্জামান খানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একুশে পদকপ্রাপ্ত এই লেখক একাধারে ছিলেন লোকসংস্কৃতি ও পল্লী সাহিত্য গবেষক।

একুশে পদক ছাড়াও তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, স্বাধীনতা পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক পুরস্কার, কালুশাহ পুরস্কার, দীনেশচন্দ্র সেন ফোকলোর পুরস্কার, শহীদ সোহরাওয়ার্দী জাতীয় গবেষণা পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেন।

শামসুজ্জামান খানের কর্মজীবন শুরু শিক্ষকতা দিয়ে। বিভিন্ন সময় মুন্সিগঞ্জের হরগঙ্গা কলেজ, ঢাকার জগন্নাথ কলেজ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্বিবিদ্যালযয়ে অধ্যাপনা করেন তিনি।

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন শামসুজ্জামান খান। ২০০৯ সালের ২৪ মে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হন তিনি। তার পদের মেয়াদ বাড়ানো হয় তিনবার, শেষ হয় ২০১৮ সালে।

১৯৪০ সালের ২৯ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ জেলার চারিগ্রামে অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানের জন্ম। ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে স্নাতক (সম্মান) ও ১৯৬৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

শামসুজ্জামান খানের রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ফোকলোর চর্চা, বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রচিন্তা ও বর্তমান বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলাপ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ, মুক্তবুদ্ধি, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমকাল, বাঙালির বহুত্ববাদী লোকমনীষা, মীর মশাররফ হোসেন: নতুন তথ্যে নতুন ভাষ্যে, সৃজন ভুবনের আলোকিত মানুষেরা, রঙ্গরসের গল্পসমগ্র, কিশোর রচনাসমগ্র, বাংলাদেশের উৎসব, বাংলা সন ও পঞ্জিকা, ফোকলোর চিন্তা ইত্যাদি।

অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানের নিজ জেলা মানিকগঞ্জে তাঁর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির কর্মকর্তারা।