১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য – Make mental health & well-being for all a global priority অর্থাৎ সবার মানসিক স্বাস্থ্য ও ভালো থাকাটাই হোক বৈশ্বিক অগ্রাধিকার। এ উপলক্ষে থাকছে সাইকোহেলথ নিউজের ধারাবাহিক আয়োজন। আজ থাকছে এর প্রথম পর্ব- ‘কর্মস্থলে মানসিক চাপ’।
কর্মস্থলে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি নজরে আসলেই প্রথম যে প্রশ্ন আসে-
প্র: আপনি কি আপনার কর্মস্থলে ব্যক্তিগত মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন?
যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তবে আপনাকে অভিনন্দন। আপনি মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় আছেন।
যদি আপনার উত্তর না হয়, তবে নিচের লক্ষণগুলোর সাথে নিজেকে মিলিয়ে নিন। একজন ব্যক্তি কর্মস্থলে অতিরিক্ত মানসিক চাপ অনুভব করলে তার মধ্যে যেসব লক্ষণ দেখা যায়, তা হলো-
বুকে ব্যথা, ক্লান্তি, বমি বমি ভাব,
ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, প্রায়ই ঠাণ্ডা লাগা,
যৌন বিষয়ে আগ্রহ কমে যাওয়া,
পেশি টানটান ও শক্ত অনুভব করা,
মাথা ও শরীর ব্যথা, ঘন ঘন শ্বাস ফেলা,
অতিরিক্ত ঘাম, ক্ষুধামন্দা, ঘুমের সমস্যা,
হতাশ লাগা, অসুখী ভাব, অসন্তোষ, আত্মবিশ্বাস হারানো,
পাপবোধ, অনিশ্চয়তায় থাকা, নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা,
চিন্তার দ্রুত পরিবর্তন হওয়া, একই চিন্তা বারবার করা,
ভুলে যাওয়া, অতিরিক্ত দুঃশ্চিন্তা ইত্যাদি।
আপনার এ ধরনের একাধিক লক্ষণ বিগত দুই-তিন সপ্তাহে প্রতিনিয়ত দেখা দিলে দ্রুত মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
এছাড়া দুঃশ্চিন্তা নিরসনের উপায় জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আরও জানুন
পর্ব-১, কর্মস্থলে মানসিক স্বাস্থ্য
পর্ব-২, রাগের ইতিবাচক নিয়ন্ত্রণ
পর্ব-৩, ঘুম