সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
আজ ১০ সেপ্টেম্বর। বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। অনলাইন সেমিনারসহ নানা সীমিত আয়োজনে এবার পালিত হচ্ছে দিনটি। গত তিন বছর ধরেই দিবসের প্রতিপাদ্য একই। তা হলো- ‘আত্মহত্যা প্রতিরোধে একত্রে কাজ করি’। কারণ বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে কেউ না কেউ শেষ করে দিচ্ছে নিজের জীবন। এভাবে বছরে মরছে কমপক্ষে ৮ লাখ মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, পৃথিবীর অনেক স্থানে ক্রমেই বাড়ছে আত্মহত্যার সংখ্যা।
১৯৯৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই আত্মহত্যার হার বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। এ কারণেই আত্মহত্যাকে গণস্বাস্থ্যের একটি ‘ক্রমবর্ধমান সমস্যা’ হিসেবে নির্দিষ্ট করেছে সেদেশের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সেন্টার- সিডিসি। মার্কিন স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ এই সংস্থার হিসেবে, কেবল আত্মহত্যাকারীরাই নয়, বহু মানুষই আছেন যারা আত্মহত্যার চিন্তা করেন বা আত্মহত্যার উদ্যোগ নেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সারাবিশ্বের মোট আত্মহত্যার ৭৯ শতাংশই হয়ে থাকে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। তাদের মধ্যে রয়েছে সব বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ। তবে তরুণদের সংখ্যাই বেশি।
বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক টানাপোড়েন ও মানসিক চাপে মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার চিন্তা বাড়তে পারে। সিডিসি সংগৃহীত গত জুন মাসের তথ্য অনুযায়ী, বিগত ৩০ দিনে আত্মহত্যার কথা চিন্তা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ১১ শতাংশ মানুষ।
আরো জানুন:
আত্মহত্যার চিন্তা এলে কী করবেন
আত্মহত্যা প্রতিরোধে বিফ্রেন্ডিং মডেল