মাসব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন করলো ঢাবি

সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক

মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাসব্যাপী নানা আয়োজনে ‘মানসিক স্বাস্থ্য দিবস-২০২২’ উদযাপন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ ও বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি। আয়োজনের মধ্যে ছিল প্রদর্শনী, সাইকোলজিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট, ফ্রি সেমিনার, ফ্রি লেকচার ও কর্মশালা।

গত ১০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগে উদ্বোধন করা হয় মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য ও ভালো থাকাটাই হোক বৈশ্বিক অঙ্গীকার’।

সেমিনারগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের ক্লাস প্রতিনিধি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান জোবেদা খাতুনের সভাপতিত্বে গত রোববার মাসব্যাপী কার্যক্রমের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাবির জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও অটিজম ও এনডিডি সেলের প্রধান সমন্বয়ক ডা. পারভেজ রহিম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাহিদ মাহজাবিন মোরশেদ।

অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশে সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিতকল্পে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. শাহানূর হোসেন।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান বলেন, সবার ভাল থাকা নিশ্চিত করতে মানসিকভাবে নিজেদের প্রফুল্ল থাকতে হবে এবং মোবাইল, ল্যাপটপের মতো ডিভাইসের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে একে অপরের সাথে গুণগত সময় ব্যয় করতে হবে।

যুগ্ম সচিব ডা. পারভেজ রহিম বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে (এসডিজি) কেউ যাতে পিছিয়ে না পড়ে, সেজন্য মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। এটা নিশ্চিত করতে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ পেশাগত মনোবিজ্ঞানী তৈরির মাধ্যমে যথাযথ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন তিনি।

ঢাবি’র ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ ১৯৯৭ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন করে আসছে। এবারের সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা জানান, এ ধরনের আয়োজন যেন চলমান থাকে, এটাই তাদের প্রত্যাশা।