উত্তর গাজা অভিমুখে ফিলিস্তিনীদের ঢল

গাজা, গাজায় যুদ্ধবিরতি, ইসরাইল,

সাইকোহেলথ ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

গাজায় শুরু হলো অস্ত্রবিরতি। টানা সাত সপ্তাহ ধরে ইসরাইলী বিমান ও স্থল অভিযান থেকে চারদিনের জন্য নিষ্কৃতি পেলো ফিলিস্তিনীরা। বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় কার্যকর হয় হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি।

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শিশগিরই শুরু হচ্ছে দু’পক্ষের বন্দিবিনিময়। এর আগে, টানা ৪৮ দিনের ইসরাইলী সেনা অভিযানে তছনছ হয় গাজা উপত্যকা। এই কয়দিনে নিহত হয়েছে ১৫ হাজার ৮শ’ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনী।

অস্ত্রবিরতির আগমুহূর্তে বৃহস্পতিবার রাতেও দখলদারদের মুহূর্মুহূ ক্ষেপণাস্ত্র ও ট্যাঙ্ক হামলায় কেঁপে ওঠে গাজা প্রান্তর। হাসপাতালেও বাড়ে আহতদের আর্তনাদ, স্বজনদের কান্নার রোল আর স্বাস্থকর্মীদের ছুটোছুটি।

ইসরাইলী বাহিনীর নির্দেশে উত্তর থেকে দক্ষিণে গিয়েও স্বস্তি নেই গাজাবাসীর। ঘরবাড়ি ছেড়ে জাতিসংঘের সহায়তায় অস্থায়ী ক্যাম্পে আশ্রয় নেয় তারা। অবরুদ্ধ চারপাশ। ফিলিস্তিনীদের পৃথিবী যেন ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে। খাবার, বিশুদ্ধ পানি, চিকিৎসাসহ সবকিছুর সংকট সেখানে। যদিও অস্ত্রবিরতি শুরুর পর গাজায় ঢুকতে শুরু করেছে ত্রাণবাহী ট্রাক।

অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতির সুযোগে উত্তর গাজায় ফিলিস্তিনীদের ফেরার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছে ইসরাইলী সেনাবাহিনী। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই উত্তর গাজা অভিমুখে ছুটতে শুরু করে ফিলিস্তিনীরা। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে দখলদার বাহিনী।

হামাস গেরিলাদের খোঁজে কড়া নজরদারি রয়েছে ইসরাইলের। বলা হচ্ছে, কোন অবস্থাতেই উত্তর গাজার নিয়ন্ত্রণ ছাড়বে না ইহুদি সেনারা। এরই মধ্যে অস্ত্রবিরতি পরবর্তী অভিযানের নতুন ছক কষতে শুরু করেছে নেতানিয়াহুসহ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা।

এদিকে, হামাস-ইসরাইল অস্ত্রবিরতির আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগ, গোটা জাতিকে চরমপন্থার দিকে ঠেলে দিয়েছে ইসরাইল। যেখানে স্বজনদের হত্যা আর মানবিক বিপর্যয়ের প্রতিশোধের আগুনে ফুঁসছে ফিলিস্তিনী তরুণরা।