কর্মস্থলে নারীর অংশগ্রহণ ৫০ শতাংশে উন্নীত করার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর

সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশে কর্মস্থলে নারীর অংশগ্রহণ ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার অঙ্গীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে বিশ্ব নারী সম্মেলনের ২৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে উচ্চ পর্যায়ের এক আলোচনায় তিনি এ অঙ্গীকার করেন।

ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে প্রধানমন্ত্রীর ধারণকৃত এই বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। শেখ হাসিনা জানান, কৃষি, শিল্প ও অন্যান্য কর্মস্থলে বাংলাদেশে বর্তমানে দুই কোটি নারী কাজ করছেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও কর্মরত বাংলাদেশের প্রায় দেড় হাজার নারী।

নারী ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অসামান্য উন্নয়নের কথা তুলে ধরন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের উন্নয়ন এজেন্ডার কেন্দ্রবিন্দুতে নারীদের বসিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দেশে নারী-পুরুষ সমঅধিকার ভিত্তিক একটি সংবিধান নিশ্চিত করা হয়।

শেখ হাসিনা জানান, ‘আমরা শিক্ষার পাশাপাশি নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের উপর জোর দিয়েছি। আমরা নারীদের আমাদের উন্নয়নের সক্রিয় কর্মী হিসেবে বিবেচনা করি।’ এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে প্রগতিশীল নারী উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করে সরকার।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন ৫০টিতে উন্নীত করা হয়েছে।’ সংসদ নেতা, সংসদীয় উপনেতা, বিরোধী দলীয় নেত্রী ও স্পিকার নারী।
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় ৩০ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে। আর জনসেবাতে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর জন্য বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, নারীরা এখন উচ্চ আদালতের বিচারক, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং আরও অনেক কিছু হয়ে উঠছেন। জেন্ডার বাজেটিং, মাইক্রো ফাইনান্স এবং অনুরূপ উদ্যোগগুলো মহিলাদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারীদের ক্ষেত্রে সরকারের বিনিয়োগ নারী সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুফল বয়ে আনছে। নারীর ক্ষমতায়নে সাফল্যের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী অনেক প্রশংসা অর্জন করেছে। তিনি বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্স অনুসারে, আমরা নারীদের সামগ্রিক ক্ষমতায়নে দক্ষিণ এশিয়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছি। ১৪৯টি দেশের মধ্যে বিশ্বব্যাপী পঞ্চম স্থানে এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়ণে ৭ম স্থানে রয়েছি। আমাদের আরও অনেক কিছু করার আছে।’