সাংবাদিক রোজিনার পাশে জোটবদ্ধ সবাই

সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক

দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের পক্ষে জোটবদ্ধ সবাই। সচিবালয়ে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিকভাবে তাকে হেনস্তা করার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দল-মত নির্বিশেষে সব পক্ষ।

রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন। দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা।

নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন- বিএফইউজে, ঢাকা সংবাদিক ইউনিয়ন- ডিইউজে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, সম্পাদকদের সংগঠন-এডিটর্স গিল্ড, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার- বিজেসি।

একইভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের একান্ত সচিবের কক্ষে একজন সাংবাদিককে আটকে রাখা নিন্দনীয়।

এ বিষয়ে সচিবের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে মানবাধিকার কমিশন। অনন্য ভূমিকা রেখেছে রোজিনার কর্মস্থল দৈনিক প্রথম আলো। বিষয়টি আইনগতভাবে মোকাবেলার ঘোষণা দিয়েছে তারা।

রাজধানীর কাওরানবাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদী মানবন্ধন করেন তার সহকর্মীরা। এসময় রোজিনা ইসলামকে নিরাপদে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরীফ।

রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও তাকে মুক্তির দাবি জানিয়েছে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা নয়, বরং দুর্নীতিবাদদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।

নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও উদীচীসহ বিভিন্ন সংগঠন। প্রতিবাদ কর্মসূচি করেছে দেশের বিভিন্ন জেলার সাংবাদিকরা।

সরকারি তথ্য লুকানো এবং ছবি তোলার অভিযোগে সোমবার রাতে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে মামলা করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপ-সচিব ডাক্তার মোহাম্মদ শিব্বির আহমেদ ওসমানী।

তবে রোজিনার পরিবার ও সহকর্মীদের দাবি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করায় পরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁদে ফেলা হয়েছে।

মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে রোজিনাকে কাসিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তার জামিন শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।