বিশ্ব অভিবাসী দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ নিবন্ধ

মো: মনিরুজ্জামান

অভিমানী পরবাসী

মো: মনিরুজ্জামান

আজ ১৮ ডিসেম্বর। বিশ্ব অভিবাসী দিবস। গতকাল রাতে আমার কাছে অবাকলাগা একটি ঘটনা ঘটেছে। আমার পরিচিত একজন প্রবাসী আমাকে ফোন করে অনুরোধ করেছেন প্রবাসীদের দুঃখকষ্ট নিয়ে যেন কিছু লিখি।

আমি লেখক নই, তবুও একজন অলেখকের কাছেও একজন কবির অনুরোধ অনেক বড় বিষয়। সে একজন কবিও বটে। দেশে থাকতে নিত্য সংগ্রাম করেছে দারিদ্র্য আর অবহেলার সাথে। জমিজমা বিক্রি করে দালাল ধরে ইউরোপে পাড়ি জমিয়েছে অবৈধ অভিবাসী হয়ে।

অনেক ঘাট ঘুরে বছর চারেক পরে মোটামুটি থিতু হয়েছে।বয়স পেরিয়েছে বয়সের নিয়মেই, বিয়ে করা হয়নি সময়মতন। চাল নেই চুলো নেই, বিয়ে করবে কীভাবে?
এখন তার সব হয়েছে, টাকা পয়সা জমি বাড়ী সব। কিন্তু তার ভাষায় তার জীবনে কোন ভালবাসা নেই।

সে সকলের প্রয়োজন, কারোরই প্রিয়জন নয়। বাবা মা ভাইবোন যাদের জন্য এতকিছু করেছে, তারাও মনে করে সে আরো বেশী করে না কেন, তার কি টাকার অভাব?

আত্মীয়-স্বজন তাদের প্রয়োজনেই তার সাথে যোগাযোগ করে, এমনিতে না। সে প্রবাসী শ্রমিক, কিন্তু কবি। কবিদের অভিমান বেশী থাকে। আমাকে মাঝেমাঝেই ফোন করে তার মনঃকষ্টের কথা বলে।

আমি একদিন কথায় কথায় বললাম তোমার তো সব আছে এত অভিমান কেন করো? ও বললো, স্যার, টাকা ছাড়া আমার কিচ্ছু নেই, আছে শুধু কষ্ট আর অভিমান।অভিমান ঝেঁটিয়ে বিদায় করলে কষ্টে বুক ভরে যাবে, আমার কবিতা মরে যাবে।

সে কোথাও কবিতা ছাপে না, এমনকি তার নিজের ওয়ালেও না। জিজ্ঞেস করলে বলে, আমি কবিতায় কষ্ট ভোলাই, আমি কবিতার বাজারের ফেরিওয়ালা হতে চাই না। তার অনুরোধেই পুরানো একটা লেখা রিপোস্ট করলাম। হয়তো বা অভিবাসীদের জীবনের সাথে যাবে।

মে ২০০৬, তারিখটা ঠিক খেয়াল নেই। আমি তখন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্য হিসেবে UNMIK-KOSOVO তে কর্মরত। ইউরোপে সামার মানেই ফুল, ফল, মাস্তি আর উৎসব। নামে সামার হলেও টেম্পারেচার রাতে মাইনাস, দিনে ৫/৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আমাদের জন্য মাঘেরও বাপ!! নাকি দাদা বা পরদাদা!!

তো যাহোক, UNMIK-এ আমরা কাজ করতাম SCIS বা Serious Crimes Investigation সেকশনে। তখন আমি SCIS এর একটি উইং কমান্ডার। সব মিলিয়ে আমাদের সদস্য সংখ্যা ৩৬, বেশীর ভাগই ইউরোপিয়ান।

এশিয়ান বলতে আমি, ডেপুটি টিম লিডার ইন্ডিয়ান একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার, উত্তর প্রদেশের অশোক সিং (বর্তমানে IG), ফিলিপিনো একটা ছেলে ও একজন লেডি অফিসার, বাকী সব ইউরোপিয়ান।

ইউরোপিয়ান পুলিশ অফিসারদের কাছে সামার মানেই আউটিং, সামার মানে বরফ গলতে থাকা, পাহাড়ে উপত্যকার স্লেজিং বা স্কি করা। সারা কসোভোর চাঞ্চল্যকর সকল অপরাধ বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধ, খুন, অপহরণ, গ্যাং কেস, এগুলো তদন্ত করাই ছিল আমাদের কাজ।

বলে রাখা ভাল যে, কসোভো মিশন ছিল এক্সিকিউটিভ মিশন। অর্থাৎ আমাদেরকেই আসামি গ্রেফতার, মামলা তদন্ত, আদালতে সাক্ষ্য দেওয়া ইত্যকার রেগুলার পুলিশী সব কাজই করতে হতো। কসোভা পুলিশের একটি টিম আমাদের সহযোগী হিসাবে কাজ করত, যার নেতৃত্বে ছিল চিফ সুপারিনটেনডেন্ট ফাতমি।

রাশিয়ান একজন অফিসার ছিল আমাদের সাথে, নাম সের্গেই। সে ছিল স্কি এর পোকা। অবসরে প্রায়ই সে আমাকে তার স্কি করার ছবি দেখাতো। লাল টুকটুকে সের্গেই আর তার এক্স ওয়াইফ কাম গার্লফ্রেন্ডদের লাল, হলুদ, কমলা, ব্লু এসব ডিপ কালারের স্কিন টাইট ড্রেস পরা স্কি এর ছবি সব।

স্কি করতে গিয়েই তার প্রেম, বিয়ে এবং বছর চারেক পরে আরো বেশী নামি-দামি এক স্কি হিরোর সাথে তার বউ এর ভেগে যাওয়ার গল্পও সের্গেই বলতো অনায়াসেই।

কসোভোর সর্ব উত্তরের একটি রিজিয়ন ছিল মিট্রোভিচ্চা। ঐ রিজিয়নে মামলা তদন্ত করতে গিয়ে সের্গেই সন্ধান পায় রিমোর্ট অঞ্চলে অবস্থিত একটি স্কি সেন্টারের। স্থানীয় নাম পিংলাই স্কি সেন্টার। সের্গেই আমাদেরকে স্কি সেন্টারের ছবি, ভিডিও দেখিয়ে রাজি করায় ওখানে যাবার।

প্রায়ই শনিবারে আমরা টিমের সবাই মিলে কোন রেষ্টুরেন্টে বা অন্য কোথাও খেতে বা বেড়াতে যেতাম নিজেরা চাঁদা তুলে, জাতিসংঘর লাল-সাদা গাড়ীর বহর নিয়ে।

এমনি এক শনিবারে আমাদের গন্তব্য হল পিংলাই স্কি সেন্টার কাম স্লেজ গ্রাউন্ড। কাকভোরে রওনা হয়ে সকাল ৯টার মধ্যেই পৌছালাম সেখানে। সের্গেই এর বিবরণ একটুও বাড়তি নয়। মনে হল, কাশ্মিরে আছি।

হাইওয়ে থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরের গ্রামে স্কি সেন্টারটির অবস্থান। চারদিকে ছোট ছোট টিলা, থেমে থেমে মাঝারি পাহাড়, উপত্যাকা, কোথাও কোথাও সমতল ভূমিও। সবই বরফে ঢাকা। মাঝে মাঝে গাছের পাতাগুলো উঁকি দিচ্ছে বরফের আড়াল দিয়ে।

জংলা যেখানে ঘন, সেখানে গাছের ফাঁকে ফাঁকে পেঁজা তুলার মত সাদা সাদা বরফ। চারিদিকে ইউক্যালিপটাস, ম্যাপল গাছের সারি, আপেল, পিচ, কমলা বা নাশপাতির বাগান। মাঝে মাঝে সার্বিয়ান পল্লীতে ছবির চেয়েও সুন্দর গোছানো ঘরবাড়ী। মানুষ বলতে বৃদ্ধ, বৃদ্ধারাই। কর্মক্ষম নারী-পুরুষ সবাই যুদ্ধের কারণে ঘর ছেড়ে রাশিয়া বা সাবেক যুগোশ্লাভিয়ান দেশগুলোতে উদ্বাস্তু।

পৌছলাম স্কি সেন্টারে। লোকজনের ভিড় নেই খুব একটা। পাহাড়ের নিচে দুয়েকটা রেস্টুরেন্ট, পানশালা, কফিশপ। আমাদের গন্তব্য হিলটপের রেস্টুরেন্ট। ওখানেই রিজিওনাল কমান্ডার, কসোভো পুলিশ আমাদের জন্য চায়ের এন্তেজাম করেছেন।

সব মিলিয়ে আমরা ১৮ জন বরফের কামড় খেতে খেতে ২০০ মিটারের মত উচুঁতে হিলটপের চাইনিজ রেস্টুরেন্ট কাম লজে গিয়ে পৌঁছলাম ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে। পেট ক্ষুধায় চো চো করছে। ভাবছিলাম পরোটা, ডিমভাজি না হোক, ওমলেট/ মামলেট, কসোভো স্পেশাল বিফ বা এরকম কিছু থাকবে।

গিয়ে দেখি সে গুড়ে বালি। অখাদ্য চাইনিজ স্যুপ, সিংগাড়ার মত এক ধরনের শুকনা তিন কোনা ব্রেড, আপেল পাই (আপেলের তৈরি কেক), ক্যানকোক আর হরেক রকম বিয়ার। ওদের আসলে দোষ নেই। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে এটাই অনেক।

ইউরোপিয়ান সহকর্মীরা গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল বিয়ারে। আমাদের তো ও চল নেই। কফি বা চা চাইলাম। রেস্টুরেন্ট চালান চাইনিজ সত্তোরোর্দ্ধ এক বৃদ্ধ। তার স্ত্রী এবং বছর পঁচিশেক বয়সের নাতনী। বৃদ্ধ, বৃদ্ধা মূলত রেস্টুরেন্ট, লজ সামলান।

কাস্টমারের দায়িত্ব চাইনিজ তরুণীর। সে ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরেজি বলে। উচু দাঁত বের করে সারাক্ষণই হাসে। তার হাসির কারণেই তাকে বুঝতে বা বোঝাতে অসুবিধা হলেও বিরক্ত হয় না কাস্টমাররা।

ব্রেক ফাস্ট পর্ব শেষ করে ৩/৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস টেম্পারেচারে ইউরোপিয়ান কলিগরা স্কিন টাইট লাল হলুদ ড্রেস পরে দুটো করে স্কি স্টিক নিয়ে নেমে পড়ল স্কি করতে।

রাশান সের্গেই, জার্মান বেকন, এমন কি অস্ট্রিয়ান ডানাকাটা পরী মেরির শত অনুরোধ উপেক্ষা করেও আমি রয়ে গেলাম। বললাম, সবাই নামলে ছবি তুলবে কে?তোমাদের লাঞ্চের এন্তেজামই বা কে করবে, ভিডিওই বা কে করবে?

আমার সাথে রয়ে গেলেন ইন্ডিয়ান অশোক এবং ইউক্রেনিয়ান আরো একজন লেডি কলিগ। এখানেই আমাদের লাঞ্চের প্রোগ্রাম। বিদায় নিতে বিকাল হবে।
১০ কাঠার মত জায়গা জুড়ে লজ, রেস্টুরেন্ট। মালিক পক্ষ ৩ জন, কর্মী হিসাবে আরো আছেন এক মধ্যবয়সী দম্পতি।

নিচে স্কি সেন্টার। লজের বারান্দায় বেশ রোদ আসে। বেশ জুতসই একটা জায়গা দেখে বসলাম কফির কাপ নিয়ে আমরা ৩ জন। ব্ল্যাক কফি দিয়ে শুরু হলেও ঘন্টা খানেকের মধ্যেই নাতনী বুঝে গেল, আমরা চায়ে দুধ নয়, দুধে চা বা কফি খাই।

এর মধ্যে তাদেরকে টমেটো, ক্যাপসিকাম দিয়ে ডিম ভাজাও শিখিয়ে ফেললাম। আমরাও খেলাম, তারাও খেল। শক্ত লাঠির মত ব্রেড আগুনে সেঁকে নিলাম। বেশ একটা বার বি কিউ টাইপ আয়োজন। খাবার ঝামেলা মিটল। দুধ চা, দুধ কফি, ফ্রেস নাশপাতির জুস সব মিলিয়ে পরিবেশটাও সুন্দর হয়ে গেল।

চা ঢালাও চলতে লাগল থেমে থেমে। বেশ ফুরফুরা মেজাজ। অশোকের নেয়া ল্যাপটপে দেখে ফেললাম একটা ফুল হিন্দি সিনেমাও। আমি আর অশোক তো বটেই, ইংলিশ সাব টাইটেল দেখে ইউক্রেনিয়ান কলিগ আর চাইনিজ নাতনীও কমবেশী উপভোগ করল শাহরুখ খানের দুর্দান্ত অভিনয়।

যা হোক, যে কথা বলার জন্য আজ কলম ধরেছিলাম, সে কথায় আসি। চা কফির এক পর্যায়ে রেস্টুরেন্ট মালিক তার স্ত্রী, নাতনী সমেত আমাদেরকে সঙ্গ দিলেন। জিজ্ঞেস করলাম, তোমাদের এখানে পোষায়? বেচা-বিক্রি কেমন?

বৃদ্ধ বলল, ‘ভাল না। একটা কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে ফোরম্যান হিসাবে এখানে এসেছিলাম। বছর বিশেক আগে। কাজ শেষে কোম্পানি চলে গেছে, আমার আর যাওয়া হয়নি, ভালবেসে ফেলেছি এই পর্বত, এই উপত্যকা। দেশে গিয়ে বউ আর নাতনীকে নিয়ে এসেছি’।

‘ওর বাপ মারা গেছে, মা আবার বিয়ে করেছে। ওরও কেউ নেই। তাই আসতে চাইল, নিয়ে আসলাম। এখানেই এ level করেছে, এখনো গ্রাফিকসে পড়ছে এখানেই। মাঝে মাঝে ক্লাশ করে’। বলল, ‘ব্যবসা ভাল না, খুব যে চলে এমন না। কাস্টমারও হাতে গোনা। পথ চলতি মানুষ, আর স্কি সেন্টারের ভিজিটররাই ভরসা’।

এরপর উনি যে কথাটি বললেন, তাতে অভিবাসীদের নিয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গিই বদলে গেল। ভাঙাভাঙা ইংরেজি আর কসোভোর স্হানীয় ভাষায় বৃদ্ধ বললেন, ‘আমরা তিন চাইনিজ চায়নাতে খাইও না, টয়লেটও ব্যবহার করি না। এটাই তো দেশের জন্য আমাদের সবচেয়ে বড় কন্ট্রিবিউশন’।

উনি যোগ করলেন, ‘যুদ্ধ থেমে গেলে ইউরোপে এর উন্নতি অবশ্যম্ভাবী। একদিন এদের পারচেজ পাওয়ার বাড়বে, সেদিন ওরা চাইনিজ গুড়সই কিনবে। উন্নতি হবে চায়নার’।

উল্লেেখ্য যে, তিনি রেস্টুরেন্টেই ছোট্ট একটা শপ চালান, জুতা, ছাতা, ব্যাগ, বাচ্চাদের খেলনা সমেত রাজ্যের টুকিটাকি সস্তাদরের চাইনিজ গুডস বিক্রি করেন সেখানে।
স্কি সেন্টারের শীতার্ত দুপুরে ঐ চাইনিজ আমাকে বুঝিয়েছিলেন, অভিবাসীরা স্বদেশে খায়ও না, টয়লেট করে না, কার্বন নিঃসরণ করে না, তারা খালি ডলার পাঠায়, দেশের উন্নতি করে নিজেদের রক্ত হিম করা উপার্জনে।

আমি নিজেও বহুদিন প্রবাসী ছিলাম। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী হিসাবে। আমি প্রত্যক্ষ করেছি প্রবাসীরা দেশকে, স্বজনকে কতটা ভালবাসে!! প্রিয়জনদের জন্য, মাতৃভূমির জন্য তারা তাদের হৃদয় কতটা ব্যাকুল থাকে!! পুলিশের চাকরির সুবাদে প্রত্যক্ষ করেছি প্রবাসীদের শোষণ, বঞ্চনা, দুঃখ কষ্টের শত সহস্র সাতকাহন।

নিজের মানুষরা কীভাবে তাদেরকে বঞ্চনা করে, তাদের সম্পদটা লুফে নেবার জন্য কীভাবে ‍মুখ হা করে থাকে, কীভাবে তারা প্রতারিত হয়, তাও আমাকে দেখতে হয়েছে চাকরির সুবাদেই।

প্রবাসীদের অধিকাংশই হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে। খেয়ে না খেয়ে সঞ্চয় করে দেশে ডলার পাঠায়। স্ত্রী পুত্র, পরিবার, বাবা মা, ভাই বোনের সুখের আশায় এবং প্রবাস ফেরত বাকি জীবনটা সুন্দর ও সাবলীলভাবে চালানোর জন্য।

তাদের বেশীর ভাগের আশা অপূর্ণই থেকে যায়। এক সময় তারাও বুঝতে পারে, তাদেরকে নয়, তাদের সম্পদকেই তাদের স্বজনরা বেশী ভালবাসেন। প্রবাসে থাকতে থাকতে একসময় তারা স্বজনদের মনেরও আড়াল হয়েছেন। ধীরে ধীরে পরিগণিত হয়েছেন ডলার রোজগারের মেশিনে।

আমি আমার পরিচিত সকল প্রবাসীকে অনুরোধ করি, নিজের অর্থ নিজের দায়িত্বে রাখুন। বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন যাদেরকে যা দিবেন, একেবারে দিয়ে দিবেন। আপনার সম্পদ কাউকে পাহারা দেবার জন্য নিরাপদ ভাববেন না।

বেশীর ভাগ সময় বেড়া নিজেই ক্ষেত খায়। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে। তবে সেরকম ভাগ্যবান প্রবাসীদের সংখ্যা নেহাতই হাতে গোনা।

আজ বিশ্ব অভিবাসী দিবস। সকল স্বর্ণপ্রবাসীকে আমার আন্তরিক অভিবাদন ও শুভ কামনা। আপনারা ভাল থাকুন।আপনারা ভাল থাকলেই ভাল থাকবে বাংলাদেশ।

লেখক: কমিশনার, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ